সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আপন ছোট ভাইকে অপহরণ করে বাবা মায়ের কাছ থেকে ৬০ লাখ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন বড় ভাই। আবার নিজে বাদী হয়ে থানায় জিডিও করেছিলেন। কিন্তু নিজেই সাঁজিয়েছিলেন অপহরণের নাটক। অবশেষে র্যাব-১১ এর অভিযানে ওই ভাই সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ১৯ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১) এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।
র্যাব জানায়- নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ১৮ এপ্রিল রাত ৩টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা আসামী বড় ভাই মোঃ মারুফ জামিল, অপহরণ চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ জিসান ওরফে মহসিন ও মোঃ সোহান শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের হেফাজতে থাকা ১৭ এপ্রিল অপহরণের শিকার ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ফাহাদ জামিলকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়- গ্রেপ্তারতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় গত ১৭ এপ্রিল সকাল ১০টার সময় ক্লাস সেভেনের স্কুল ছাত্র ফাহাদ জামিল (১৪)কে স্কুল থেকে বাসা যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এলাকা হতে অপহরণ করে তারা। অতঃপর ভিকটিম ফাহাদ জামিলকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের বাবার কাছে ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে আসছিল।
বিন্তু অপহরণ চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী নিজেকে পর্দার আড়ালে রাখার জন্য সহযোগিতা নেয় অপর ২ জন জিসান ওরফে মহসিন ও সোহান শেখের। অন্যদিকে মূলহোতা আপন বড় ভাই মোঃ মারুফ জামিল (২৬) নিজেকে ধরা ছোয়ার বাইরে রেখে মা-বাবার কাছে বিশ^স্থতা অর্জনের জন্য নিজের ছোট ভাইয়ের নিখোঁজ সংক্রান্তে নিজে বাদী হইয়া নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে।
এ ছাড়াও র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ বরাবর নিজের ছোট ভাইয়ের অপহরণ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়েরও করে সে। অভিযোগ প্রাপ্তির পর র্যাব-১১ এর একটি চৌকশ আভিযানিক দল ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণ কারী চক্রকে গ্রেপ্তাররের অভিযান শুরু করে। নারায়ণগঞ্জে বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন মীরকাদিম পৌরসভার নগর কসবা এলাকা হতে ভিকটিম স্কুল ছাত্র ফাহাদ জামিলকে উদ্ধার করা হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা মোঃ মারুফ জামিল, অপহরণ চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ জিসান ওরফে মহসিন ও মোঃ সোহান শেখকে। এই ঘটনা সংক্রান্তে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
র্যাব আরও দাবি করে- র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর রহস্য উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করিয়া থাকে।