সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যার ফলে চলতি বছরটি দেশের রাজনীতির জন্য কঠিন একটি বছর। দিনকে দিন বিএনপি রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম কর্মসূচি বাড়িয়ে যাচ্ছে। সরব হচ্ছে জাতীয় পার্টিও। এ বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিএনপি রাজপথের আরো কঠিন আন্দোলন সংগ্রামে যাবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রশ্ন থেকে যায় ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মত কঠিন পরিস্থিতি হলে আওয়ামীলীগের পক্ষে রাজপথে থাকবে কারা? তবে সেই ভরসা কেবল মাত্র তরুণ প্রজন্মের নেতারাই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন- বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে আওয়ামীলীগের যেসব নেতারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারা এখন বয়সের কারনে রাজপথে থাকতে পারবেন না সেটা বলা যায়। একইভাবে যারা ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে পরে রাজপথে বিএনপিকে ঠেকাতে আন্দোলন করেছিলেন সেইসব নেতাদের অনেকেই বুড়োদের তালিকায় চলে গেছেন। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় রাজপথে ভুমিকা রাখা আওয়ামীলীগের নেতারাই এখন আওয়ামীলীগের বড় শক্তির একমাত্র ভরসা।
যদিও সেইসব নেতাদের অনেকেই এখন রাজনীতির ভালো অবস্থানে রয়েছেন। কেউ কেউ রাজনীতির মাঠ ছেড়ে আড়ালে চলে গেছেন অনেক আগেই। কেউ কেউ পদবিহীন ঝুলে রয়েছেন। অনেকেই আবার নিজ নিজ ব্যবসা ঘোছাতে রাজনীতির বাহিরে ব্যস্ত রয়েছেন। অনেকেই আবার নিজেদের আখের ঘুছাতে ব্যবস্ত রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে দেশে রাজনীতির কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এসব তরুণ প্রজন্মের সকল নেতাদের একযোগে রাজপথে দেখা যাবে তো? নাকি রাজনীতির রাজপথ ছেড়ে পালাবে?
তবে অনেকেই মনে করেন, রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে পরীক্ষিত রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ। সে রকম পরিস্থিতি হলে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের সকল নেতাকর্মীরাই একযোগে রাজপথে নামবেন এটা বলা যায়। যদিও আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো ঘোচানো না থাকলেও সাংগঠনিকভাবে আওয়ামীলীগ নারায়ণগঞ্জে বেশ শক্তিশালী রাজনৈতিক দল।