সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
দোয়া, মিলাদ, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারাদেশের ন্যায় সোনারগাঁয়েও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জন্মদিন পালন করেছে সোনারগাঁ উপজেলা ও পৌর জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গ সংগঠন।
২০ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় এমপি খোকার নিজস্ব কার্যালয়ে কেক কেটে তার জন্মদিন পালন করা হয়। এ সময় আলোচনা সভা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত মহাসচিব জননেতা লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি।
এসময় এমপি খোকা বলেন, দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে জাতীয় পার্টি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়বে। তাই দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।এসময় তিনি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় পার্টি প্রচার সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুম,সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি এম এ জামান, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আবু নাঈম ইকবাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রায়হান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাজী মুক্তার হোসেন, প্রচার সম্পাদক ফজলুল হক, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান উদ্দিন চুন্নু, জাতীয় মহিলা পার্টির সোনারগাঁ উপজেলার সভাপতি জায়েদা আক্তার মনি,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা আক্তার।
এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন-মোগরাপাড়া ইউ জামপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহবায়ক আশরাফুল ভূইয়া মাকসুদ, প্যানেল চেয়ারম্যান মো:মোতালেব ভূইয়া, আলী জাহান, বৈদ্যোর বাজার ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মোহাম্মদ আলী মেম্বার, সনমান্দী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল হোসেন, বাছেদ মেম্বার, হাসান ইমাম, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি সদস্য সচিব সাইদুর রহমান সবুর, মনির মেম্বার,মহিলা সদস্য পলি আক্তার, নার্গিস আক্তার, রুনা আক্তার, নাসরিন আক্তার পান্না, আনোয়ার হোসেন মেম্বার, আবুল কালাম মেম্বার, রফিকুল ইসলাম মেম্বার, সাদেকুর রহমান, আনোয়ার হোসেন আনু সহ জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ।
সাবেক এ রাষ্ট্রপতি ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন পান ১৯৫২ সালে। ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট তিনি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের অব্যবহিত পর থেকেই সংবাদপত্রে বিবৃতি ও কভারেজের মাধ্যমে রাজনীতিতে এরশাদের আগ্রহ প্রকাশ পেতে থাকে। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন। তিনি দেশের সংবিধানকে রহিত করেন, জাতীয় সংসদ বাতিল করেন এবং সাত্তারের মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করেন।
তিনি নিজেকে দেশের সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করেন, যে সাংবিধানিক পদটি একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানেরই প্রাপ্য ছিল। তিনি ঘোষণা করেন যে ভবিষ্যতে সামরিক আইনের অধীনে জারিকৃত বিধিবিধান ও আদেশই হবে দেশের সর্বোচ্চ আইন এবং এর সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সকল আইন অকার্যকর হবে।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। অবশ্য তার আগেই দলের দায়িত্ব ছোট ভাই জিএম কাদেরের হাতে তুলে দেন তিনি।