সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির গতিশীলতা আরো বেগবান করতে এবং রাজপথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে পূর্বের চেয়ে বেশি সক্রিয় ভুমিকা রাখতে দিকনির্দেশনা মুলক বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ওই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
২২ মার্চ বুধবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শুরুতে বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ আগত নেতৃবৃন্দকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানান এবং আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে আরো দিগুন সক্রিয়ভাবে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান। এরপর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার কাছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির নানা বিষয় অবগত হোন।
এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমান সবদিক থেকে বিবেচনা করেই দলের আস্থা আপনাদের উপর ছিলো বলেই আপনাদেরকে কমিটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত আপনাদের উপর দলের আস্থা রয়েছে। আপনারা কাজ করে যান, রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে সেই আস্থার প্রতিদান দেবেন এবং নিজেদেরকে যোগ্য প্রমাণ করবেন। কে কি বললো সে কথায় কান দিবেন না। এই মুহূর্তে রাজপথ হচ্ছে আমাদের নিজেদের প্রমাণের একমাত্র অবলম্বন। তাই সকলে মিলে আরো দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলুন এবং এই স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করুন। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আগ পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখুন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আমরা সবাই আছি আপনাদের পাশে।
এ সময় সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু মহাসচিবকে জানান, নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন নেতা মহাসচিবের সাথে সাক্ষাত করে মহাসচিবের বরাদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে মহাসচিব বলেন, আমাদের কাছে অনেকেই আসে, তারপর আপনাদের কাছে গিয়ে নানা কথা বলবে, এসব কথায় কান দিবেন না। কে কি বললো সে সব বিষয়ে কান দিবেন না। আপনাদের উপর এখনো দলের আস্থা আছে বলেই আপনরারা দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ ফতেহ রেজা রিপন, সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মাহমুদুর রহমান, রাশিদা জামাল, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান মিঠু, শাহিন আহমেদ, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, শাহেদ আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, সদস্য সচিব নাজমুল হক রানা, বিএনপি নেতা হারুন উর রশিদ লিটন, শাহাদুল্লাহ মুকুল, মহি উদ্দিন শিশির, নাজমুল হক, নজরুল ইসলাম সরদার, আবুল হোসেন রিপন, নাসির উদ্দিন টিপু, বাবু খান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক মামুন ভূইয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর তাঁতীদলের আহ্বায়ক মীর আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার প্রমূখ।