সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে কেন্দ্র ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল করে শোডাউনের মাধ্যমে যোগদান করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির অবস্থান কর্মসুচি পালিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন শেখ মোহাম্মদ অপু। তিনি বলেন, আমাদের মাঝে বিভেদ বৈরীতা দূরত্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। এই স্বৈরাচারী সরকার হতে দেশকে মুক্ত করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
এসময় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম মুন্নার মুক্তির দাবিতে বক্তব্য রাখেন শেখ অপু। একই সঙ্গে আড়াইহাজারে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় যুবদল মাহাবুব নিহতের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এর আগে মিছিল করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের নেতাকর্মীরা যুবদল নেতা শেখ মোহাম্মদ অপুর সঙ্গে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ব্যানার- ফেস্টুনে সু-সজ্জিত হয়ে সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্লোগানে শ্লোগানে মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগদান করেন। এ ছাড়াও মিছিলে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না ও যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেন।
এতে শেখ মোহাম্মদ অপুর সঙ্গে উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম মুছা, মিজানুর রহমান, যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম, জামান হোসেন, গোলাম কাদির, আব্দুল হালিম, সাব্বির আহমেদ, বিল্লাল হোসেন, রবি, মিরাজ, আনোয়ার, অর্জুন, আজাদ, মনির, সাহেদ, জয়, বিজয়, তুর্য্য, সম্রাট, আকাশ, বিজয়, ইমন, আব্দুল মান্নান ও সবুজ সহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীবৃন্দ।
কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, সরকারী দলেরই অনেক নেতা বলেন বর্তমান দলের যারা এমপি তারা হলেন খয়রাতি এমপি। এই লজ্জা নিয়েই আপনারা রাজনৈতিক অঙ্গনে আমাদের বিরুদ্ধে বড় বড় কথা বলেন। আমাদের হুমকি-ধমকি দেন। একবার আপনাদের পিছনে তাকিয়ে দেখেন জনগন আপনাদের কতটুকু ভালোবাসেন।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, এই সরকার সাড়ে ১৪ বছর ধরে যে অন্যায়-নির্যাতন জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে কেউ যেনো কোন কথা না বলতে পারে সেজন্য এই সরকার প্রধান বিরোধীদল হতে দেয়নি। বিএনপি এখন রাজপথে নেমে সরকারের এই ভুলভ্রান্তি ধরিয়ে দিচ্ছে। অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলছে সেটাও তারা সহ্য করতে পারছেনা।
সাধারণ মানুষ তাদের চরিত্র ধরে ফেলেছে। মুখে যতই ভালো কথা বলুক অন্তরে তারা শুধু নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চিন্তা করে। আগামীতে যখন ক্ষমতায় থাকবেন না তখন মাঠে আর রাজনীতি করতে পারবেন না। এখনই তো আপনারা রাজনীতি করতে পারছেন না, প্রশাসনের উপর ভর করে আপনাদের রাজনীতি করতে হচ্ছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সদস্য এমএ হালিম জুয়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল-মামুন, আকবর হোসেন, আবুল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান শরীফ, যুবদল নেতা শেখ মোহাম্মদ অপু প্রমূখ।