সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী অপহরণের পর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মুন্সিগঞ্জে র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয় এবং আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়। ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার, সহকারী পরিচালক, সিনিয়র এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
তিনি জানান, র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৯ এপ্রিল বুধবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন জামালদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে অপহৃতা ৯ বছরের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী ভিকটিমকে উদ্ধারপূর্বক অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা অনামিকা আক্তার ওরফে জিয়াসমিন এবং তার সহযোগী জান্নাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামী অনামিকা আক্তার ওরফে জিয়াসমিন মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন ইসমানিক চর এলাকার এছহাক-এর মেয়ে এবং জান্নাত শরিয়তপুর জেলার গোসাইর হাট থানাধীন আনোয়াকাঠি এলাকার সুলতান সরদার-এর মেয়ে। উদ্ধারকৃত ভিকটিম (৯) বন্দর থানাধীন কলাবাগ এলাকায় আল-আমিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ আব্দুল মোতালেব এর মেয়ে। গত ১৮/০৪/২০২৩ খ্রিঃ অনুমান ১১.৪৫ ঘটিকায় ভিকটিম তার ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। ভিকটিমের পিতা-মাতা ভিকটিমকে অনেক খোজাখুজির পর পাশের বাসার ভাড়াটিয়ার মাধ্যমে জানতে পারে যে, তাদের প্রতিবেশী অনামিকা আক্তার ওরফে জিয়াসমিন ও জান্নাত অন্যান্য আসামীদের সহযোগীতায় ভিকটিম(৯)’কে অটোরিক্সা যোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে।
ঘটনার এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ভিকটিমের পিতা-মাতার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে। ভিকটিমকে জীবিত ফেরত দেয়ার জন্য ভিকটিমের পিতা-মাতার নিকট ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এই ঘটনায় ভিকটিমের অসহায় পিতা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩৭, তারিখ-১৯/০৪/২০২৩ ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৮/৩০।
পরবর্তীতে র্যাব ১১, সিপিএসসি এর গোয়েন্দা টীম এই ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে উল্লেখিত আসামীদেরকে গ্রেফতারসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং এই মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।