সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
হত্যাকান্ডের ২৬ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার, সহকারী পরিচালক, সিনিয়র এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এবং সিপিসি-৩, নোয়াখালীর যৌথ আভিযানিক দল কর্তৃক ২৫ এপ্রিল মধ্য রাতে ডিএমপি, ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন আকনগলি এলাকা হতে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামী জামাল উদ্দিন নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন শরীফপুর এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তারকৃত আসামী তার অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ চৌমুহনী স্টেশন রোড থেকে মাইক্রোবাসযোগে চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হকের ছেলে ভিকটিম ফজলুল হক’কে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামী ও তার অন্যান্য সহযোগীদের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং- ১৪(২)৯৭। মামলা তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। যাতে তারা প্রকাশ করেন যে, গ্রেপ্তারকৃত আসামী ও তার অন্যান্য সহযোগীরা পরস্পর যোগসাজসে ভিকটিম ফজলুল হককে হত্যা করে তার মৃতদেহ গুম করেছে রেখেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী মামলা দায়েরের পর হতে দীর্ঘ ২৬ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে সু-কৌশলে পলাতক ছিল। আদালত গত ২৫/০২/২০১৫ গ্রেপ্তারকৃত আসামী জামাল উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারী ও গোপন অনুসন্ধানের মাধ্যমে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এবং সিপিসি-৩, নোয়াখালী এর যৌথ চৌকস আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আসামীর অবস্থান সনাক্ত পূর্বক আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।