সোনারগঁয়ে আয়ের উৎস ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে মোশারফ বলয়ে বিরোধ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

গত ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোশারফ হোসেন। এক মাস না যেতেই সোনারগাঁয়ে মোশারফ হোসেনের বলয়ের দুই নেতা আয়ের উৎস ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন। একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদা দাবির লিখিত অভিযোগও করেছেন। সেই অভিযোগে দুইজনকে আটকও করেছে পুুলিশ।

জানাগেছে, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি। দুজনই মোশারফ হোসেনের বলয়ে রাজনীতি করেন।

আরও জানাগেছে, যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে একটি ঠিকাদারী কোম্পানীর ম্যানেজার ও অফিস সহকারীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমন অভিযোগে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক সোহাগ রনি বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ২জনকে আটক করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।

অভিযোগে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক সোহাগ রনি দাবি করেন- উপজেলার কামারগাঁও মেঘনা ইকোনোমিক জোনে তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সুলতান কনষ্ট্রাকশন লিঃ দীর্ঘদিন যাবত ঠিকাদারী কাজ করে আসছেন। সম্প্রতি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর নির্দেশে এসকে সজিব, সুমন, শান্ত, মোঃ ফয়সাল, মুশফিকুর রহমান সিয়াম, রানা, ফয়সাল, সাগরসহ আরো ৫/৬ জন চাঁদাবাজ তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

সোহাগ রনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর বেলা তার ম্যানেজার জুয়েল ও অফিস সহকারী ইয়াসিন আরাফাতকে দুপুর বেলা সোনারগাঁ শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে অপহরণ করে দুলালের বাড়ির বেলের মাঠে নিয়ে যায়। এসময় তারা জুয়েলকে মারধর করে তার কোম্পানীর নির্বাহী পরিচালক রিন্টুকে ফোন দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় সুলতার কনষ্ট্রাশনের মালিক সোহাগ রনি বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এমন অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে রফিকুল ইসলাম নান্নু ওইদিন বলেছিলেন, আমি মঙ্গলবার সারাদিন সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে নারায়ণগঞ্জে ছিলাম। এ ঘটনার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। সোহাগ রনি নিজেই নাটক সাঁজিয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানিয়েছিলেন, অপহরণের বিষয়ে একটি অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মোঃ ফয়সাল, মুশফিকুর রহমান সিয়াম নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে।