সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটের দাবি করে আসছেন এ পদের প্রার্থী মাসুকুল ইসলাম রাজীব। এমন দাবিতে শেষতক ভোটাভুটির প্রস্তুতি নিলেও রাজীব পরাজিত করানোর নীল নকশা এটেছে বিএনপির একটি পক্ষ। এ পদে বর্তমান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকনকে বসানোর সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে খোকন অনুগামী একটি পক্ষ। নেতাকর্মীরা মনে করেন- সঠিকভাবে ভোটাভুটি হলে রাজীব ভোটের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। ব্যক্তি স্বার্থের কারনে একটি পক্ষ খোকনকে নির্বাচিত করানোর নীল নকশা তৈরি করেছেন।
নেতাকর্মীরা জানান, জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাসুকুল ইসলাম রাজিবের পক্ষে নেতাকর্মীরা আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। বর্তমান সরকারের দমন পীড়নের বিরুদ্ধে রাজপথে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে রাজিবের মতো প্রতিবাদী ও সাহসী নেতার হাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দায়িত্ব ওঠুক এমনটা চায় তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। নারায়ণগঞ্জে ছাত্রনেতা হিসেবে তুখোড় বক্তা জনপ্রিয় মাসুকুল ইসলাম রাজিব। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিবীদ তৈরীর সুতিকাগার সরকারি তোলারাম কলেজের ভিপি থাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়েই রাজিবের রয়েছে এক বিশাল কর্মীবাহিনী।
অনেকের কাছে নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের সোনালী অধ্যায়ের নাম মাশুকুল ইসলাম রাজিব। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে আন্তরিকভাবে মিশে গিয়েছিলেন রাজিব, তাদের বিপদ আপদে ঝাঁপিয়ে পরেছেন। বর্তমানেও সেই ধারা অব্যহত রেখে চলেছেন যার ফলে তরুণ প্রজন্মের কাছে আইকনে পরিনত হয়েছেন মাশুকুল ইসলাম রাজিব ওরফে ভিপি রাজিব।
আরও জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি কাউন্সিলকে ঘিরে সরব হয়ে উঠেছেন মাশুকুল ইসলাম রাজিবের অনুসারীরা। নতুন কমিটিতে মাশুকুল ইসলাম রাজিবকে সাধারণ সম্পাদক করা দাবী জানাচ্ছেন তারা বিভিন্নভাবে। বর্তমান কমিটির সিনিয়র নেতাদের দিনের পর দিন ব্যর্থতা, স্বজনপ্রীতি আর লোক দেখানো ফটোসেশনের অবসান ঘটিয়ে রাজপথে ঝড় তুলতে রাজিবের বিকল্প দেখছেন না তরুণ প্রজন্মের জিয়ার সৈনিকরা।
বিএনপি’র চলমান প্রতিটি কর্মসূচিতে রাজিবের নেতৃত্বে রাজপথে নেমেছে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। রাজিবের নেতৃত্বে আগামী দিনে বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে ঝাঁপিয়ে পরার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের এই দাবীটি তুলে ধরছেন এবং নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। রাজিবের মতো সাহসী ও প্রতিবাদী নেতার হাতে দায়িত্ব তুলে দিলে নেতাকর্মীরা সব রাজপথে ছুটে আসবে এবং নারায়ণগঞ্জ থেকেই খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপি’র ১০ দফা আন্দোলনের সূচনা হবে বলে বিশ্বাস তৃণমূলের।
আগামী দিনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামকে আর গতিশীল করতে তরুণ নেতৃত্ব মাশুকুল ইসলাম রাজিবকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দেখতে চায় তৃণমূল বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।
রাজিব সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে আরো জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব একজন মেধাবী ছাত্রনেতা। সরকারি তোলারাম কলেজের ছাত্র ছাত্রী সংসদ নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হয়ে মুল রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
পরে ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। পরে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক পদেও স্থান পায়। জেলা তৃনমূল ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের কাছে তিনি আইডল। বিএনপির প্রতিটি আন্দোলনে সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন তিনি।
২০১৫ সালের ৫ই জানুয়ারি বিএনপির আন্দোলনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। পরে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয় রাজিবকে। রাজনৈতিক ভাবে নারায়ণগঞ্জ সদর , সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লাসহ জেলার বিভিন্ন থানায় রাজিবের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে।
এসকল মামলায় একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে মাসের পর মাস আসামি হয়ে কারাগার ভোগও করেছেন তিনি। এখন প্রত্যেক সপ্তাহের পাঁচদিনই এসকল রাজনৈতিক মামলায় হাজিরা দিতে আদালতের বারান্দায় বারান্দায় দেখা রাজিবকে। রাজপথের সাহসী কর্মীবান্ধব নেতা রাজিবকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাই তৃনমুল বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা