সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব পান নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর বিএনপির বেশকজন শীর্ষ নেতা সহ আওয়ামীলীগ-জাতীয় পার্টিঘেষা আরো ১৪জন নেতা পদত্যাগ করেন, যাদেরকে কমিটিতে রাখা হয়েছিলো। সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে মাঠ ছেড়েছেন বিদ্রোহীরা।
এখানে যখন বিদ্রোহীদের মুল নেতা মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও হাজী নূরউদ্দীন আহমেদ বর্তমানে সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্ব মেনে মহানগর বিএনপির রাজনীতি করছেন। বিদ্রোহীদের নেতা আতাউর রহমান মুকুলকে এখন আবারো আওয়ামীলীগ- জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে অতীতের মতই মঞ্চে দেখা যাচ্ছে। ফলে বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপে এখন আর শীর্ষ নেতা নেই, মধ্যম সারির কিছু আনাড়ি ধাচের নেতা বিদ্রোহী গ্রুপে রয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে মহানগরীর তিনটি ইউনিটে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন সাখাওয়াত ও টিপু। শুধু সম্মেলন নয়, সরাসরি কাউন্সিলদের ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হয়েছেন এসব ইউনিটে। যেখানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সম্মেলন হলো ২৭ বছর পর। একইভাবে বন্দর উপজেলা ও বন্দর থানা বিএনপির দুটি কমিটিও সম্মেলনের মাধ্যমে করতে পেরেছেন প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় পর। প্রতিটি ইউনিট কমিটি গঠনের পর এভাবে ঝাকজমকপূর্ণভাবে সম্মেলন করে রীতিমত ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
নেতাকর্মীরা বলছেন, মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করা, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কর্মসূচিগুলো রাজপথে পালন করা এবং প্রতিটি ইউনিট কমিটি মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে সম্পন্ন করে যোগ্য নেতৃত্বের প্রমাণ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। এরি মাঝে আবার বিএনপির বিদ্রোহ করা শীর্ষ নেতাদের এনেছেন মুলধারায়। সব মিলিয়ে পাকাপোক্তভাবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিকে সংগঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন সাখাওয়াত ও টিপু।
জানাগেছে, গত ১৩ জুন বন্দর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি নির্বাচিত হোন মাজহারুল ইসলাম হিরন। সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হোন হারুন অর রশিদ লিটন। এর আগের দিন ১২ জুন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হোন অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান। ৯ জুন বন্দর থানা বিএনপির সম্মেলনের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হোন কাউন্সিলর শাহেনশাহ আহমেদ ও বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হোন নাজমুল হক রানা।