রাব্বি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন রুহুল আমিন আটক

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

ফতুল্লায় দীর্ঘ পাঁচ বছর পর দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে রাব্বি মিয়া (২০) নামে এক অটোরিকশা চালকের সন্দেহভাজন আসামি রুহুল আমিনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। ফতুল্লা থানা মামলা নং-৮৪ তারিখ২৮(৩)১৮।

আটক রুহুল আমিন ফতুল্লা থানাধীন কাশিপুর মধ্যপাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। আর নিহত রাব্বি মিয়া কাশিপুর আদম বাড়ি এলাকার নাসির হোসেনের ছেলে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোহসীন আলম বলেন, গতকাল রুহুল আমিনকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে নিয়ে আসে তবে রুহুল আমিন নাকি অটোরিকশা চালক রাব্বি হত্যার জড়িত কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো থানায় মামলা নেই। আমরা তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে দিয়েছি।

এবিষয়ে নিহত অটোরিকশা চালক রাব্বির বড় ভাই রাকিব বলেন, আমার ভাই হত্যা মামলায় যাদের আসামি করছে তারা কেউ জড়িত নয়। কিন্তু পুলিশ চার্জশীট দিসে। আর যাকে ৫৪ চালান করছে সেই এই হত্যা করেছে । আমার ভাইকে হত্যার পর থেকেই আসামি রুহুল আমিনকে এলাকায় দেখা যায়নি। মামলার এজাহারে তার নামও ছিল না। কিন্তু সেই আমার ভাইয়ের প্রকৃত খুনি আমরা শুনেছি ও বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী আমাদেরকে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ভারতের চেন্নাইয়ে পালিয়ে ছিল। গতকাল এলাকায় আসলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। যেহেতু মামলা অনেকদিন আগের সেহেতু ৫৪ ধারায় চালান করেছে পুলিশ। আমি আদালতের মাধ্যমে তাকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিসেবে গ্ৰেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করবো।

জানাগেছে, ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ রাতে রাব্বিকে হত্যা করা হয়। এরপর ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৬কে আসামি করে নিহত রাব্বির পিতা নাসির উদ্দিন ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আসামিদের গ্রেফতার করা হলে একজন আসামি ৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে এই মামলার জটিলতা এড়াতে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দিয়ে দেয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ মঙ্গলবার রাতে অটোরিকশা চালক রাব্বি মিয়া হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত দুই যুবক তার গতিরোধ করে ধারালো ছুরি দিয়ে পিঠে ও পেটে আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রাব্বি মিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাব্বিকে মৃত ঘোষণা করেন।

তৎকালীন ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাফিউল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তারা রাব্বি মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে খুন করেছে তাদের সঙ্গে পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ওই দুই যুবককে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।