সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
’জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো, ….হাসিনার গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে, এক দফা এক দাবি হাসিনা তুই কবে যাবি’ রাজধানীর রাজপথে এই শ্লোগান দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। এ সময় তার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীদের সমস্বরে শ্লোগানে মুখরিত প্রকম্পিত হয়ে ওঠে রাজধানীর রাজপথ। একইভাবে পালাক্রমে শ্লোগান ধরেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুও। তাদের ধরা অগ্নিঝরা শ্লোগানে নেতাকর্মীদের সমস্বরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানীর রাজপথ।
এদিকে জানাগেছে, রাজধানী ঢাকায় বিএনপির একদফা দাবি আন্দোলন কর্মসূচির সমাবেশে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর রাজপথে শোডাউন করে যোগদান করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। রাজধানীর রাজপথে মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের এমন বিশাল শোডাউন বিগত প্রায় ৪০ বছরেও দেখা যায়নি বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপির একজন প্রবীণ নেতা। তার দাবি- ৪০ বছরের ইতিহাস ভেঙ্গেছে সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। আমি হলফ করে বলতে পারি বিগত ৪০ বছরেও শুধুমাত্র মহানগরী থেকে এত্ত নেতাকর্মী নিয়ে রাজধানীর কোনো কর্মসূচি কেউ পালন করতে পারেনি।
১২ জুলাই বুধবার ঢাকার রাজপথে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ শোডাউন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিশাল মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন।
বুধবার দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিন সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বিএনপি’র সমাবেশকে সফল করতে সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটসহ প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে জমা হয় এবং আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে মূলদলের সাথে যোগ দেয়। এ সময় নেতাকর্মীরা বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শ্লোগানে শ্লোগানে ঢাকার রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন সদর থানা, বন্দর থানা, বন্দর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড বিএনপি ও যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলাদল, কৃষকদল, তাঁতী দল, ওলামাদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়। প্রতিটি ইউনিট কমিটি থাকায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি স্মরণকালের সর্ব বৃহৎ শোডাউন করে এদিন ঢাকার রাজপথে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএিনপির এতো নেতাকর্মীর শোডাউন অতীতে কখনো দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন সমাবেশে উপস্থিত প্রবীন নেতাকর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নুরুদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, শওকত হাসেম শকু, হাবিবুর রহমান দুলাল, মাসুদ রানা, এইচএম আনোয়ার প্রধান, মাহমুদুর রহমান, বরকত উল্লাহ, শাহিন আহমেদ, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য ও মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, শাহেদ আহমেদ, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, বিএনপি নেতা শেখ সেলিম, চঞ্চল মাহমুদ, নজরুল ইসলাম সরদার, কাজী নাঈম, মহিউদ্দিন শিশির, নজরুল ইসলাম সরদার, আবুল হোসেন রিপন, আল আমিন প্রধান, শেখ আঞ্জুম আহম্মেদ রিফাত, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু,মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলহাস সরদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, কৃষক দল নেতা আক্তার হোসেন সবুজ, মনোয়ার হোসেন সোহেল, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ
