সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নির্বাচনে রাতের অন্ধকারে সিল মেরে নির্বাচিত হতে চাননা বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান। তিনি বন্দর উপজেল পরিষদের আগামী নির্বাচনে নিজেকে চেয়ারম্যান পদে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী দাবি করে বলেছেন, ‘রাতের অন্ধকারে সিল মেরে আমি বিজয়ী হতে চাইনা। যদি আপনারা আমাকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেন তাহলেই আমি আপনাদের প্রতিনিধি হতে চাই।’ তবে সুফিয়ানের এমন বক্তব্য নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কি কারনে সুফিয়ান রাতের অন্ধকারে সিল মারার কথাটি বলেছেন তা নিয়ে বেশ সমালোচনা শুরু হয়েছে খোদ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে।
২৭ এপ্রিল শনিবার বিকেলে বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিওধরা এলাকায় বন্দর উপজেলা পরিষদের আগামী নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন আবু সুফিয়ান।
একেএম আবু সুফিয়ান আরও বলেন, অর্থ আর প্রাচুর্য আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন তাতেই আমি সন্তুষ্ট। অর্থের লোভে আমি আপনাদে প্রতিনিধি হতে চাইনা। জনপ্রতিনিধির চেয়ার একটি পবিত্র স্থান। আপনারা দয়া করে কোন অযোগ্য ব্যক্তিকে এই চেয়ারে বসিয়ে স্থানটি অপবিত্র করবেন না। মেয়েকে বিয়ে দেয়ার আগে যেমন ছেলের সর্বত্র যাচাই করেন ঠিক তেমনিভাবে ভোট দেয়ার আগেও তেমন যাচাই করে নিবেন। আমাকে নয়, যোগ্য লোকেই আপনার মূল্যবান ভোটটি দিবেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্দরে ও সিটিকর্পোরেশনের এলাকাগুলোতে দেখুন উন্নয়নের বিরল চিত্র এঁকে রেখেছেন। অথচ সেই তুলনায় ইউনিয়নবাসীর আজ কি অবস্থা! আর এইসব কিছুর কান্ডারি আমাদের মাননীয় মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি জানেন কিভাবে উন্নয়ন করতে হয়, কোথা থেকে উন্নয়ন পাশ করতে হয়। আমি দীর্ঘদিন তার সাথে আছি। আমি তার থেকেই শিখেছি কিভাবে উন্নয়ন করতে হয়। ইনশাআল্লাহ আপনারা যদি আমাকে দায়িত্ব দেন তাহলে এই এলাকার কোন উন্নয়ই বাকি থাকবে না।’
জিওধরা এলাকার সমাজ সেবকহাজী মোঃখলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগ নেতা মোঃ হিমেল, সমাজ সেবক তাইজুল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম, আলম মিয়া, ফারুক আহমেদ, আবু তাহের, বাবুল সরদার, মোঃ কামাল, মজিবুর রহমান, সালাউদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, মোঃ জুলহাস, খাজা মিয়া, রমজান আলী, মামুন, শফিউল্লাহ, মোঃ শরিফ, মোঃ ফয়সাল ও মোতালেব খান প্রমূখ।