সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনকালীন নৌকা মনোনয়ন বাগিয়ে দিতে আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের কাছে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে অভিযোগ তুলেছিলেন চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। প্রমাণবিহীন এমন অভিযোগ তোলায় জাকিরের কঠোর শাস্তি দাবি ২১ জুলাই শুক্রবার স্থানীয় গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
ওই পবিত্রায় জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জাকিরের ভূমিকা আমি কখনো সুদৃষ্টিতে দেখিনাই, আর দেখবোও না। কারন জাকির প্রকৃত আওয়ামী লীগের লোক না। সেজন্য তাকে আমি পছন্দ করিনা, আর ভবিষ্যতেও পছন্দ করবোনা। নৌকার বিষয়ে যে কথা সে বলেছে, সেটার ব্যাখ্যা হলো, চেয়ারম্যান নির্বাচনে তার জন্য নৌকার লোকেরাই পরিশ্রম করেছে এবং ভোট দিয়ে তাকে পাশ করিয়েছে। নির্বাচনে অংশ্রগ্রহণ করার জন্য আলীরটেকে আওয়ামী লীগের লোকের অভাব নাই। তাকে কেন ধরে এনে নমিনেশন দিতে হবে। যারা তাকে নমিনেশন দিয়েছে তারাও এ বিষয়টা বুঝে যে সে নৌকার লোক না। আমি শুনেছি জাকির পিস কমিটির, শান্তি কমিটির লোক, রাজাকারের লোক। তারপরেও তাকে ধরে এনে নৌকার নমিনেশন দেয়া হলো। এটা যারা করেছে তাদের কাছেও আমার প্রশ্ন, আলীরটেকে কি আওয়ামী লীগের লোকের অভাব ছিলো? নেতা না থাকলেও হাজার হাজার কর্মী আছে। সেখান থেকে একটা কর্মীকে মনোনয়ন দিতো। ওই কর্মীকে দিলেও সে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে পাশ করতো। কিন্তু তারা সেটা না করে জাকিরকে দিলো। আজকে কেন জাকির আওয়ামী লীগের লোকদের বিতর্কিত করছে সেটাও বুঝতে হবে। এই কর্মকান্ডের জন্য জাকিরের বিচার হওয়া উচিত। জাকিরের ব্যাপারে তদন্ত হওয়া উচিত। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে জাকির যে অভিযোগ করেছে আমরা আওয়ামী লীগের লোকেরা তার প্রমাণ চাই। সে প্রমাণ দেখাক।
ঘটনা সূত্রে, এর আগে স্থানীয় গণমাধ্যমে চেয়ারম্যান জাকির হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।
আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ও ব্যবসায়ী সমাজ সেবক আওয়ামীলীগ নেতা সায়েম আহমেদ। নির্বাচনী মাঠে সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন সায়েম। কিন্তু তিনজনই দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও মনোনয়ন পান মতিউর রহমান মতি। মনোনয়ন দাখিলের একদিন আগে মতি নিজেকে অসুস্থ্য জানিয়ে নৌকা প্রতীক পেয়েও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। একদিন আগে পুণরায় জাকির হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে আসেন। কিন্তু নির্বাচনে জাকির হোসেন কেন্দ্রীয় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানকে নিয়ে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পত্র জমা দেন এবং হেফাজত ইসলামের লোকজন নিয়ে শোডাউন করে নির্বাচন করে নানা কৌশলে বিজয়ী হন।
নির্বাচনের পর একটি বৈঠকে জাকির হোসেন দাবি করেন তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করায় ভোট কম পেয়েছেন। নৌকা প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে তিনি আরো বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হতেন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামীলীগ এসপি ও ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলো।