তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাতীয় পার্টির জন্য গলার কাটা: এমপি খোকা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ও জাতীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন, ১৯৯১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সর্বদলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দেন তত্বাধায়ক সরকারের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের কাছে। তিনি যখন শপথ নিলেন তখন বলেছিলেন সকল রাজনৈতিক দলকে সমান সুযোগ সুবিধা দিবেন। উল্টো তিনি শপথ নেওয়ার কিছু দিন পরে আমাদের জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু এরশাদ এর নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করেন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরে সকল দলের প্রধানরা রেডিও টেলিভিশনে ভাষন দেয়ার সুযোগ পান কিন্তু পল্লীবন্ধু এরশাদকে সেই ভাষন থেকে বিভিন্ন ছল চাতুরী করে শাহাবুদ্দিন সরকার ষড়যন্ত্র করে দূরে রাখেন। তার কিছু দিন পরে পল্লীবন্ধু এরশাদ আজকের বিরোদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ ও শিশুপুত্র শাদ এরশাদ কে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠান। সেইসময় বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের রোষানল থেকে কেউ রেহাই পায়নি। আইনজীবীরা পল্লীবন্ধু এরশাদের পক্ষে কোর্টে দাঁড়িয়েও জামিন করাতে পারেনি বরং আমাদের জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী, সিনিয়র নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করা হয়। নির্বাচনকালীন সময়ে জাতীয় পার্টির গণসংযোগ করা ছিল অত্যন্ত বিপদজনক। সেই সময় জাতীয় পার্টির কোন নেতা কর্মী বাংলাদেশের কোন রাস্তায় নেমে একটি মিছিল পর্যন্ত করতে পারেনি। হামলা মামলা দিয়ে বাড়িতে ঘুমাতে দেওয়া হয়নি। এত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও সেই সময় জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের ৩৫টি আসনে জয়লাভ করে। আমাদের প্রিয় নেতা পল্লীবন্ধু এরশাদের তত্বাধায়ক সরকারের ব্যাপারে প্রবল আপত্তি ছিল। তিনি নির্যাতনকারী, হামলা, মামলা দায়েরকারী তত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে আমৃত্যু অবস্থান নিয়েছিলেন। এটা জাতীয় পার্টির জন্য গলার কাঁটা।

এমপি খোকা আরো বলেন, আজকে সেই তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য অনেকে মায়া কান্না করছে। তারা ১৯৯১ সালের সেই ভয়ংকর অবস্থা বেমালুম ভুলে গেছে। আমরা তত্বাবধায়ক সরকারের নামের কলংকের বোঝা আর বইতে চাই না। এটা থেকে পরিত্রাণ চাই। নির্যাতনকারী শাহাবুদ্দিনের তত্বাবধায়ক সরকার আমাদের জন্য একটি কলংকজনক অধ্যায়। এটা পূর্নরায় চালু হউক আমরা চাই না।

২২ জুলািই শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চর কামালদী বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান উদ্দিন চুন্নুর সভাপতিত্বে ও নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক সাইদুর রহমান সবুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহা সচিব বেলাল হোসেন, উপজেলা জাতীয় মহিলা পার্টির প্রধান উপদেষ্টা জালিয়া লিয়াকত, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, আস্থা ফিডের কর্ণধার মোঃ সাইফুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আবু নাইম ইকবাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান বাদল, সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও শম্ভপুরা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুর রহমান বাবু, জেলা মহানগর শাখা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রায়হান জয়, পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম এ জামান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় যুবসংহতির সোনারগাঁ উপজেলা আহবায়ক কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু, সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় মহিলা পার্টি আহবায়ক নাছিমা আক্তার পলি, যুগ্ম আহবায়ক হনুফা আক্তার মিতু, নাসরিন আক্তার পান্না, শিল্পী বেগম মেম্বার, সনমান্দি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি আহবায়ক মোঃ আবুল হোসেন, জামপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আশরাফুল ভূঁইয়া মাকসুদ, বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহবায়ক মোঃ আলী মেম্বার, বারদী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আমীন হোসেন মেম্বার, সাদীপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল হাসেম, সাধারণ সম্পাদক জাকির সরকার, জামপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোতালিব ভূঁইয়া মেম্বার, জাতীয় যুবসংহতির সোনারগাঁও উপজেলার আহবায়ক কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু, সদস্য সচিব সিকান্দার আলী, সাকিব হাসান মেম্বার, আবুল কালাম মেম্বার, রিয়াজ ফকির মেম্বার, বাহাউদ্দীন মেম্বার, আঃ রশিদ মেম্বার, জহিরুল ইসলাম মেম্বার, নুরে আলম শাহীন মেম্বার, বদিউজ্জামান মেম্বার, রফিকুল ইসলাম মেম্বার, সেলিম রেজা, শাহীন মোল্লা, হারুন অর রশীদ মেম্বার, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সোনারগাঁও উপজেলা সদস্য সচিব আলমগীর কবির মেম্বারসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জাতীয় পার্টি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।

সম্মেলনে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা দেওয়ান উদ্দিন চুন্নুকে
সভাপতি ও সাইদুর রহমান সবুরকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়।