আনোয়ার প্রধান ও সাগর প্রধানের মুক্তি চায় মহানগর যুবদল

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম আনোয়ার প্রধান ও মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধানসহ গ্ৰেপ্তারকৃত বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু ও সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আনোয়ার প্রধান ও মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধানসহ বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে বিরোধীদলের চলমান সরকার পতনের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন এদেশের মাটিতে মেনে নেওয়া হবে না। এই সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১দফা দাবি আদায়ে মহানগর যুবদল আমরা মাঠে আছি। সরকার পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপি ও যুবদলের দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, ইতিহাস বলে নির্যাতন করে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারেনি, বর্তমান সরকারও পারবে না। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, এভাবে সন্ত্রাসী হামলা, আহত, জখম, হত্যা, গ্রেপ্তার করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে কখনোই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমাদেরকে রাজপথ থেকে সরানো যাবে না। এক দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা রাজপথ ছাড়বে ইনশাল্লাহ।

উল্লেখ্য- শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড মহাসড়কে পুলিশের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধানকে প্রধান আসামি করে মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান ৪২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় আনোয়ার প্রধান ও সাগর প্রধানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার ( ৩০ জুলাই ) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই ) মমিনুল হক বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর আক্রমন, মহাসড়তে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি ও নাশকাতার অভিযোগ আনা হয়েছে। এমামলায় গ্রেপ্তার ৭জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে জানান তিনি।