সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আজকে এই বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নেই। আমাদের এই আন্দোলন দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। দেশে দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতির মাধ্যমে এদেশে ৭৪’র দূর্ভিক্ষের প্রতিধ্বনি প্রতিহত করার জন্য আমাদের আন্দোলন। এই সরকার থাকলে এদেশে আবার দূর্ভিক্ষ হবে। এই সরকার শেখ হাসিনার সরকার তাকলে এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার থাকবে না। শেখ হাসিনার সরকার থাকলে দেশে খুন গুম হত্যা নির্যাতন হবে, দেশের হাজার হাজার মানুষ নির্যাতণের শিকার হবে, মিথ্যা মামলায় জেলে যাবে।
৩১ জুলাই সোমবার বিকেল তিনটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর বিএনপি আয়োজিত সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে বলতে চাই, সরকারের কর্মকান্ডের সমালোচনা করা, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, আজকে সেই সাংবিধানিক অধিকারকে সরকার কেড়ে নিতে চায়। আপনারা দেখেছেন ২৯ জুলাই তারিখে সরকার হায়ানার মত ঢাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর সরকারের পেটুয়া পুলিশ বাহিনী, পুলিশের ছদ্ধবেশে যুবলীগ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ডিবির পোশাক পরে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে, গুলিবর্ষণ করেছে, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে লাল বাহিনী, নীল বাহিনী রক্ষীবাহিনী গঠন করেছিলেন। রক্ষাবাহিনী গঠন করেও আপনাদের পতন রক্ষা করতে পারেন নাই। যতই নির্যাতন করবেন ততই পতন আপনাদের সামনের দিকে আসবে। নির্যাতন করে দেশের মানুষকে পশ্চিম পাকিস্তানীরাও ধমিয়ে রাখতে পারে নাই, দেশকে স্বাধীন করেছিলো। দেশের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে জানে, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছেনা, আন্দোলন করছে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য, গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, রাশিদা জামাল, বরকত উল্লাহ, শাখাওয়াত ইসলাম রানা, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, বিএনপি নেতা সরকার আলম, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ, নজরুল ইসলাম সরদার, কাজী নাঈম, মহিউদ্দিন শিশির, আবুল হোসেন রিপন, সাইফুল ইসলাম বাবু, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলহাস সরদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, কৃষক দল নেতা আক্তার হোসেন সবুজ, মনোয়ার হোসেন সোহেল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।