দুঃশাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে একদফা আন্দোলন দূর্বার গতিতে চলবে: টিপু

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের কথিত মামলায় রায়ের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, এই স্বৈরাচারি হাসিনা সরকারের দিন শেষ হয়ে এসেছে। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তাই হাসিনা সরকার ভয় পেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মীনী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়েছে। আমরা এই রায় মানিনা। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের মানুষ এই দুঃশাসন থেকে মুক্ত না হবে সরকার পতনের এই এক দফা আন্দোলন আরো দুর্বার গতিতে চলতে থাকবে।

সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, দেশের এই দুঃসময়ে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এবং এ দেশ থেকে স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে যখন এদেশের মানুষ জেগে উঠেছে ঠিক তখনই তারেক রহমানকে দাবিয়ে রাখতে এবং জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার জন্যই সরকার একটি মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়েছে। এই ফরমায়েশি রায় নারায়ণগঞ্জবাসী মানে না। এমনকি সারা বাংলাদেশের জনগণও এই রায় মানে না মানবে না। কিন্তু আমরা বলতে চাই মামলার রায় দিয়ে তারেক রহমানকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।

 

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া আদালতের রায়ের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহানগরীতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সাখাওয়াত হোসেন খান ও আবু আল ইউসুফ খান টিপু এসব কথা বলেন। শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সাখাওয়াত হোসেন খান আরো বলেন, আমরা বলতে চাই ১৯৭১ সালের পূর্বে ওই পশ্চিমাগোষ্ঠী বাংলাদেশের মানুষের উপর স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল। সেই সময় মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সে একই অবস্থা বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যমান। আপনারা দেখেছেন গত ১৫ বছর যাবত এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। এই সরকার নতুন সিস্টেম চালু করেছে দিনের ভোট আগের দিন রাতেই ব্যালট বাক্স ফুল করে তাদের প্রার্থীদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে নির্যাতন হামলা মামলা এবং গুম খুন করে তারা বিরোধী দলকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন ২০১৪ সালে এবং ২০১৮ সালে প্রহাসনের নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনী এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। ২০২৩ সালেও নির্বাচনের তারা একই কায়দায় করার চিন্তা করছে। সেজন্য বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো অনুধাবন করতে পেরেছে। বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আজকে বিদেশীরা আমাদের ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এ সরকারকে চাপ দিয়েছে। আমরা কিন্তু সরকারের কাছে এ কথা বলিনি যে বিএনপি’রকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া হোক। আমরা বলেছি এ দেশে একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে কে এদেশের শাসনভার পরিচালনা করবে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলে না। জনগণের সমর্থন হারিয়ে আজকে তারা প্রশাসন দিয়ে জনগণকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। আপনারা দেখেছেন গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশ মুখে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার জ্বালাও পোড়াও করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে এ দায়ভার চাপানোর জন্য চেষ্টা করছে। কিন্তু আপনাদের সকল নাটক ব্যর্থ হয়েছে। ২৯ জুলাই কি হয়েছে তা দেশের মানুষ দেখেছে। শুধু দেশের জনগণই না বিশ্ব রাজনীতি নেতৃবৃন্দরাও দেখেছে গত ২৯ তারিখ কি হয়েছিল। বিএনপির সহ যে ৩৯ টি দল এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আমরা করেই ঘরে ফিরব। এই সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে ইনশাল্লাহ।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, বরকত উল্লাহ, শাখায়াত ইসলাম রানা, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম আহবায়ক সাহেদ আহমেদ, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ অপু, মঞ্জরুল আলম মুছা, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এসএম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন,বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, বিএনপি নেতা সরকার আলম, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ, নজরুল ইসলাম সরদার, কাজী নাঈম, মহিউদ্দিন শিশির, আবুল হোসেন রিপন, সাইফুল ইসলাম বাবু, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, আল আমিন প্রধান, মহসিনউল্লাহ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলহাস সরদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, কৃষক দল নেতা আক্তার হোসেন সবুজ, মনোয়ার হোসেন সোহেল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাসেল, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দুলাল হোসেন, যুবদল নেতা মানিক বেপারী সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।