সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ১২জন প্রতিবন্ধিকে তার পরিবারের সদস্যদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক উপকরণ ও যন্ত্রাংশ বিতরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক। ওই সময় নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেছেন, প্রতিবন্ধিদের যেন রাস্তায় ভিক্ষা করতে না হয়। তারা যেন সচ্ছলভাবে চলতে পারে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিৎ। সাধারণ মানুষ যেভাবে কাজ করছেন প্রতিবন্ধিরাও যেন সকলের সহযোগিতা নিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে সেভাবে কাজ করতে পারে।
প্রতিবন্ধিরা সমাজের বোঝা নয় বলে দাবি করে তিনি বলেন, প্রতিবন্ধিদের সমাজের বোঝা মনে না করে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। তারাও কোন মায়ের সন্তান।
৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মিলনায়তন সভাকক্ষে প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে উদ্বুদ্ধকরণে উপকরণ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইউ্এনও নাহিদা বারিক।
এসময় উপস্থিতিদের উদ্দেশ্যে নাহিদা বারিক বলেন, কাউকে ছোট করে নিজে বড় হওয়ার মন মানসিকতা আপনাদের পাল্টাতে হবে। একজন প্রতিবন্ধিকে ছোট করে দেখে নিজেকে বড় হওয়ার কোন সুযোগ নাই। আপনারা আপনার একজন সুস্থ্য সন্তানকে যতটুকু খেয়াল রাখবেন তার চেয়েও দ্বিগুণ খেয়াল করতে হবে প্রতিবন্ধি সন্তানের প্রতিও। সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিরা যদি প্রতিবন্ধিদের প্রতি একটু সু-নজর দেন তাহলে তারা সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে না। আর প্রতিবন্ধিদের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন সবর্দা পাশে থাকবে।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের প্রতিবন্ধি উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মো: লিটনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, নারায়ণগঞ্জ প্রতিবন্ধি সেবা সহায়তা কেন্দ্রের প্রতিবন্ধি বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা ইয়াছমিন ও বাংলাদেশ এনজিও’স নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক প্রদীপ কুমার দাস প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ১২জন প্রতিবন্ধিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উপকরণ বিতরণ করা হয়। এদের মধ্যে ৭জনকে চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসায়ের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের জন্য তাদেরকে চুলাসহ সিলিন্ডার, চায়ের কেতলি, বালতি, চা পাতা, চিনি, ডাল বাজা, বিস্কুট, মটর বাজার। এ ছাড়াও ২জনকে দুটি ভ্যান গাড়ি দেয়া হয়। তারা ভ্যান গাড়িতে বসে ব্যবসা করতে পারবেন। বাকি তিনজনকে চটপটির দোকানের জন্য এক বস্তা আলু, এক বস্তা পিয়াজ, ফুসকা সহ অন্যান্য পণ্যদ্রব্য ও যন্ত্রাংশ প্রদান করা হয়।
বিনামূল্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের জন্য উপকরণ পেয়ে প্রতিবন্ধিরা খুবই আনন্দিত। তারা সমাজের বোঝা হয়ে থাকতে চায় না। তারা ভিক্ষা করতে চায় না। তারা স্বাভাবিকভাবে কর্মসংস্থান করে স্ত্রী সন্তান পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্বচ্ছভাবে চলতে চায়।