সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতৃত্ব প্রত্যাশি ছিলেন মাজহারুল ইসলাম জোসেফ। নেতৃত্ব না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তার অনুগামীদের দিয়ে নারায়ণগঞ্জে মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে লাঠি শোঠা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এসময় পথচারী, সাংবাদিকসহ বিএনপির অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে বেশকজনকে গণধোলাই দেয়।
এর আগে হামলাকারীরা নগরীর প্রধান সড়কে কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করেন। এসময় ঘটনাস্থলের চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে ৩০ আগস্ট বুধবার বিকাল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে। তবে হামলাকারীরা বিএনপির কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে পারেনি। কারন কর্মসূচির শুরুতে ১০/১২ জন নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ওই হামলা করা হয়। পরে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এসে মুল কর্মসূচি পালন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিলের জন্য নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকে নেতাকর্মীরা। কর্মসূচি শুরুর দিকে জুনিয়র নেতৃবৃন্দের বক্তব্য চলাকালে বিকাল ৪টার দিকে লাঠি-সোঠা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় মহানগর যুবদলে পদবঞ্চিত মাজাহারুল ইসলাম জোসেফ সমর্থকরা। এসময় তারা নেতাকর্মীদের এলোপাথারী লাঠিপেটা করে এবং ব্যানার, ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে এবং সিএনজি, রিক্সা ও মাইক ভাংচুর করে।
এক পর্যায়ে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে হামলাকারীরা। পরে ব্যাটারী চালিত একটি স্কুটারসহ নগরীর প্রধান সড়কে কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে। এসময় পথচারী, সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১০ জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পরে ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা পুনরায় সংঘবব্ধ হয়ে ধাওয়া করলে হামলাকারীরা পালাতে থাকে। এ সময় হামলাকারীদের মধ্যে যুবদল নেতা আমির হোসেন ও মোহাম্মদ মিঠুকে পেয়ে বেদম পিটুনি দেয়।
এদিকে হামলাকারীদের তান্ডব চলাকালে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিমকে ঘটনাস্থলের কয়েকগজ দুরে নীরব থাকতে দেখা গেছে। তবে তান্ডব চালিয়ে হামলাকারীরা ফিরে যাওয়ার সময় পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুনরায় জড়ো হয়ে মুখে কালো কাপড় বেঁধে নগরীতে মৌন মিছিল করেন।
দলীয় সূত্রমতে, কেন্দ্রীয়ভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত কমিটির শীর্ষ পদে স্থান পায়নি মহানগর যুবদল নেতা মাজারুল ইসলাম জোসেফ। এ নিয়ে সে এবং তার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয় এবং মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালায়। হামলাকারীদের সমর্থনে ছিলেন, মহানগর বিএনপি, মহানগর যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ না পাওয়া নেতাদের কর্মীরা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে তারা সরকারী দলের এজেন্ট। সরকারী দলের নির্দেশে তারা আমাদের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু হামলা চালিয়ে তারা আমাদের কর্মসূচি ব্যর্থ করতে পারেনি।