সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আমাদের চলার পথে অনেক ভুল রয়েছে। এই ভুলগুলি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ধরিয়ে দিয়েছেন। সেটি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা অতীতে যেভাবে চলেছি সেভাবে চলা যাবেনা। আমি প্রায়ই আমার বক্তব্যে বলে থাকি চেঞ্জ অর ডাই। পরিবর্তন কর অথবা মর। আমি আত্ম সমালোচনা করতে খুব ভালবাসি। বার বার বলা হচ্ছে নাসিম ওসমান আর ফিরে আসবেনা। এই কথাটা ঠিক না। নাসিম ওসমান আছেন। নাসিম ওসমানকে যদি দেখতে চান তাকিয়ে দেখেন কত বঙ্গবন্ধু কত শেখ হাসিনা। এই নাসিম ওসমান বিদ্যালয় থেকেই তারা তৈরী হবে। আর এটাই হচ্ছে আমাদের কাজ। ভবিষ্যত প্রজন্মকে গড়ে তোলা। আমরা পরিশ্রম করতে জানি। পরিশ্রম করেই আমরা ৭টি ইউনিয়নে ৭টি স্কুল তৈরী করেছি।
এমপি সেলিম ওসমান আরও বলেন, এলাকার মানুষ আমার সাথে অভিমান করেন আমি নাসিম ওসমানের মত হতে পারি নাই। আমি যদি নাসিম ওসমানের মত হতাম তাহলে এমন কিছু হবে যে এখানে বক্তব্য হবে, নাসিম ওসমানের তো এত পয়সা ছিলনা। আমরা এখানে একটি মানুষের সমালোচনা করব না। আমরা প্রাণভরে আত্মসমালোচনা করব। নাসিম ওসমান সব সময় বন্দরের মানুষকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন। বন্দরের উন্নয়ন নিয়ে সর্বদা তিনি চিন্তিত থাকতেন। তিনি এই বন্দরে শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি নিয়ে বিভোর থাকতেন। আমি আল্লাহর রহমতে চেষ্টা করছি আমার ভাই নাসিম ওসমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। ইনশাল্লাহ বন্দর আবারো প্রাচ্যের ডান্ডিতে পরিনিত হবে।
৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে বন্দরের পুরান বন্দর নাসিম ওসমান মডেল হাই স্কুলে এমপি সেলিম ওসমানের উদ্যোগে আয়োজিত তারই বড় ভাই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক চার বারের প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।
সেলিম ওসমান বন্দরবাসীর উদ্দেশ্যে আরও বলেন, মনে রাখবেন ভাল কাজ যখন করতে যাবো তখন আমার পরিবার থেকেও বাধা আসবে। আপনারা সাবধানে থাকবেন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যেন কোন মতেই বন্ধ না হয়। নাসিম ওসমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে যেন বাধার সৃষ্টি না হয়। যদি আপনারা মনে করে থাকেন কোথাও নাসিম ওসমানের স্বপ্ন পূরণে ভুল থেকে থাকে আমাকে মনে করিয়ে দিবেন। আমি সেটা করার চেষ্টা করব। আগামী জুন মাসের মধ্যে নাসিম ওসমান সম্পর্কে একটি বই প্রকাশ করা হোক। যাতে আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারে নাসিম ওসমান কে ও তার বিস্তারিত জীবন বৃত্তান্ত।
সেলিম ওসমান বন্দরবাসীর উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে আরও বলেন, আমার বন্দরে একটি ষ্টেডিয়াম হবে, সরকারী চিকিৎসালয় যেটি আছে সেটি আরো আধুনিকায়ন করা হবে, কদমরসুল কলেজকে বিশ^বিদ্যালয়ে রুপান্তরিত করা হবে। ইনশাআল্লাহ ২০ কোটি টাকা দিয়ে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হবে। সরকারী অর্থায়নে ৬কোটি টাকা দিয়ে এতিমখানা ও মাদরাসা নির্মাণ করা হবে। বন্দরে আমরা এত উন্নয়ণ করব যাতে আগামী ৩০বছরে কোন কোন স্থানে হাত দেয়া না লাগে।
এ সময় দোয়ায় অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি খালিদ হায়দার খান কাজল, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু, সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ ভূইয়া, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সামসুজ্জোহা, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, জাতীয় পার্টির নেতা রশিদ কন্ট্রাক্টর, বাচ্চু মিয়া, পলি বেগম, মাঈনউদ্দিন মানু ও ব্যবসায়ী চান মিয়া প্রমূখ।