সুচিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছেনা সরকার: সাখাওয়াত

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন তিনবারের প্রধাণমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে বেগম খালেদা জিয়া এতটাই অসুস্থ্য হয়ে পরেছেন যে, এদেশে আর তার চিকিৎসা সম্ভব নয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে দেশের বাইরে পাঠানো দরকার। কিন্তু এই স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। আমরা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় নগরীর চাষাড়া মিশনপাড়ায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে।

অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত বলেন, এই অবৈধ সরকার মিথ্যা ও সাজানো মামলায় আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে। দেশের মানুষ এই মিথ্যা মামলা ও সাজানো রায় মানে না। বেগম খালেদা জিয়া ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে আপোষহীন নেত্রী উপাধী পেয়েছিলেন। এদেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর তাই এই রাতের ভোটের সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে জেলখানায় আটকে রেখে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এই সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগনের ভোটাধিকার হরণ কওে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারা আবারো একটি পাতানো নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু দেশের মানুষ আর এই প্রহসনের নির্বাচন মেনে নিবে না। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নিবে না। তাই সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন ছাড়া দেশের মানুষের মুক্তির আর কোনো বিকল্প নাই। সেই এক দফার আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর থানা, বন্দর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলাদল, ওলামাদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুনে সু-সজ্জিত খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা এবং সরকারের পদত্যাগসহ এক দফা দাবি শ্লোগানে শ্লোগানে মহানগর বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছে।

সমাবেশ শেষে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহানগর বিএনপি। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চাষাড়া চত্বর এসে সমাপ্ত হয়। এসময়ে বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত এবং সরকারের পদত্যাগসহ এক দফা দাবিতে শ্লোগান দেন।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান দুলাল, মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খন্দকার স্বপন, সদস্য সচিব রশিদুর রহমান রশু, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন রিপন, শেখ সেলিম, নাজমুল হক, চঞ্চল খান, মহিউদ্দিন শিশির, নজরুল ইসলাম সরদার, শাহাদুল্লাহ মুকুল, আল আমিন প্রধান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগরীর ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনজুম আহমেদ রিফাত, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ অপু, মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলহাস সরদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুন সহ বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।