সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, এই অবৈধ শেখ হাসিনার সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভয়, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে ভয়, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে ভয় পায়। আওয়ামীলীগ যে অপকর্ম করেছে তারা জানে, তাই হাসিনার সরকারের পতন অনিবার্য। তাই এই সরকার ভয় পায়। দেশের ২০ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য একদফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন, আমরা সেই আন্দোলন করে যাবো। এই অক্টোবর মাসেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের পতন আন্দোলন আরো কঠোর হবে। হাসিনার সরকারকে বলতে চাই যদি বাঁচতে চান তাহলে অচিরেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠ নির্বাচনের সুযোগ তৈরি করে দিন। নতুবা দেশের জনগণ টেনে হেছড়ে ক্ষমতা থেকে নামাবে।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা বার ইউনিটের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ অক্টোবর বুধবার দুপুরে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এ অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি ও এর সমমনা বিপুল সংখ্যক আইনজীবীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে কর্মসূচি পালিত হয়। ওই কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আজকে বেগম খালেদা জিয়া জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এমন অবস্থায় স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য যিনি আমরণ আপসহীন থেকেছেন, সেই তাকে যদি সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এই সরকার না করে তাহলে এর দায় এই আওয়ামীলীগ সরকারের। আজকে প্রতিহিংসার কারনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবৈধ ক্ষমতার জোরে শেখ হাসিনা মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে এবং তাকে জেলে রেখেছে। শেখ হাসিনার জন্যই বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হচ্ছেনা। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের প্রতিটা বিভাগকে পুতুলে পরিনত করেছে। শেখ হাসিনার অঙ্গুলী ইশারায় যাকে সাজা দিতে বলে তার সাজা দিচ্ছে, যাকে ছাড়তে বলে তাকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এই অবস্থা একটি গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না।
কর্মসূচিতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এসময়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মুখে একটাই শ্লোগান ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’। আইনজীবীদের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে আদালতপাড়া।
অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিন বারের প্রধানমন্ত্রী। সরকার আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে একটি মিথ্যা ও ফরমায়েশি রায়ে তাকে কারাদণ্ড দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করাতে দিচ্ছে না বর্তমান এই অবৈধ সরকার।
তাঁরা আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ তিনি মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন। যদি তার কিছু হয় তাহলে এর সকল দায়ভার এই সরকারকেই নিতে হবে। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা করার অনুমতি দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুঁইয়া, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট নবী হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাসদের সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান, জেলা আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজুল হক হান্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন, ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাঈন উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ, জেলা আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা। এতে সঞ্চালনা করেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন।
এছাড়াও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন, আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রকিবুল হাসান শিমুল, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেনজির আহমেদ, অ্যাডভোকেট তমিজ উদ্দিন, আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট কাজী আব্দুর গাফফার, অ্যাডভোকেট শাহআলম মিয়া, অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া, অ্যাডভেকেট সীমা সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মাসুদা বেগম শম্পা, অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন সরকার, অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম বুলবুল, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান মুকুল, অ্যাডভোকেট নিজামুদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট গোলাম হোসেন, অ্যাডভোকেট নাজিমুদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন আহমেদ সবুজ, অ্যাডভোকেট একেএম মাহমুদুল হক আলমগীর, অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া, অ্যাডভোকেট হামিদা খাতুন লিজা, অ্যাডভোকেট রাশেদুল ইসলাম মানিক, অ্যাডভোকেট আলম খান, অ্যাডভোকেট আল আমিন সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট আল আমিন, অ্যাডভোকেট কাজী ওয়াসিম, অ্যাডভোকেট আসমা হেলেন বিথি, অ্যাডভোকেট শারমীন আক্তার, অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট কাউসার আলম চৌধুরী টুটুল, অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দীন আহমেদ রেজা, অ্যাডভোকেট আনজুম আহমেদ রিফাত, অ্যাডভোকেট জামান মিয়া, অ্যাডভোকেট জাহিদ হাসান রুবেল, অ্যাডভোকেট মামুন মাহামুদ মিয়া, অ্যাডভোকেট টুটুল সুলতানা, অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান লিংকন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর দেওয়ান, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান রিপন, অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম সুমন, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব ভূঁইয়া গোলাপ, অ্যাডভোকেট বাহাউদ্দীন আহমেদ, অ্যাডভোকেট মোহসীন রানা, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির হৃদয়, অ্যাডভোকেট ইকবাল আহমেদ মানিক, অ্যাডভোকেট যোবায়ের আলম জীবন, অ্যাডভোকেট সাদ্দাম হোসেন, অ্যাডভোকেট মোহসীন শেখ, অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান শুক্কুর মাহামুদ, অ্যাডভোকেট নয়ন ঢালী, অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার, অ্যাডভোকেট সারোয়ার জাহান, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ফাহিম, অ্যাডভোকেট রাসেল প্রধান, অ্যাডভোকেট রাসেল মিয়া, অ্যাডভোকেট আদনান মোল্লা, অ্যাডভোকেট কাজী সুমন, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান মাসুদ, অ্যাডভোকেট আবু রায়হান, অ্যাডভোকেট আশরাফুল বারী ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট ফারাহ জুবায়ের, অ্যাডভোকেট দুলাল হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক বিএনপিপন্থী আইনজীবী।