সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে তাকে সদস্য সচিব পদে অধিষ্ট করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কমিটি গঠনের পর থেকে মহানগর বিএনপির একটি অংশ মুলধারার বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী করেন। মুল কমিটির বিরোধীতাকারী টিপুর বিরোধীতাকেই বেঁছে নিলে বিরোধীতা করার অন্যতম কারন হয়ে দাঁড়ান তিনি। মুলত টিপুকে ইস্যূ করেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির মুল নেতৃত্বকে হটানোর মিশনে নামে নিজ দলের একটি অংশ, যেখানে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টিঘেষা আরেকটি পক্ষ ছিলো।
নেতাকর্মীরা জানান, কমিটি গঠনের পর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু শতবাধা বিপত্তি ষড়যন্ত্র, এমনকি নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আজকে তাদের নেতৃত্বে পাকাপোক্ত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। সাখাওয়াত-টিপুর রাজপথে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া এবং সাংগঠনিক নেতৃত্বের কাছে বিলিন হয়ে গেছে বিদ্রোহী গ্রুপ।
এখন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির একক আধিপত্য তাদের নেতৃত্বের ফলে। সাখাওয়াত-টিপুর দিনরাত কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজকে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। যেখানে দিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ ঘন্টাই রাজনীতি করেন আবু আল ইউসুফ খান টিপু। কমিটি গঠনের পর থেকে কোনো নেতাকর্মী অসুস্থ হলে কিংবা আহত হলে ছুটে গেছেন তাদের বাসায়। কেউ গ্রেপ্তার হলে তাকে আইনি সহায়তা দিতে ছুটে এসেছেন কোর্টপাড়ায়। কেউ সরকারি দলের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলে কর্মীদের বাঁচাতে দৌড়ে গেছেন সেখানে। ছাত্রলীগের হামলার সময় ছাত্রদল নেতা আজিজুল হক রাজীবকে বাঁচাতে গিয়ে নাজেহালও হয়েছেন টিপু।
মহানগর বিএনপির আওতাধীন সদর থানা, বন্দর থানা, বন্দর উপজেলা কমিটি গঠন ছাড়াও সদরের দুটি ইউনিয়ন ও বন্দরের আরো ৫টি ইউনিয়ন কমিটি গঠনে সদস্য সচিব হিসেবে মুখ্য ভুমিকা রেখেছেন। এমনকি প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটিও সম্মেলনের মাধ্যমে কঠিন সময়েও গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন সাখাওয়াত ও টিপু। এসব ক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখা, মনিটর করা, সম্মেলনের ব্যবস্থা করা, কর্মীদের মনমালিন্য থাকলে তাদেরকে দলে সক্রিয় করার কাজটি করেছেন টিপু। মোটকথা সাখাওয়াতের সঙ্গে যোগ্য সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে ঢাকায় কিংবা মহানগর পর্যায়ে কর্মসূচি সফল করতে কর্মসূচি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার কাজটি শুরু করে দেন টিপু। থানা উপজেলা ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সরাসরি ফোন করেন টিপু। প্রতিটি কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীদের সমবেত করার কাজটি করেন জোরালোভাবে। প্রতিটি ইউনিট কমিটির নেতাকর্মীদের ফোন করে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। নেতাকর্মীদের যখন তখন ফোন করেন টিপু। এতে কর্মীরা অনেক সময় বিরক্ত হলেও টিপুর কাজের প্রতি দরদ থাকায় প্রসংশাও করেন নেতাকর্মীরা।
সভা সমাবেশ কিংবা মিছিল কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যানার ফ্যাস্টুন তৈরির কাজ, এমনকি মাইকের ব্যবস্থাও করেন তিনি। বিক্ষোভ মিছিল কংবা সমাবেশ সফল করতে কর্মীদের দাঁড়ানো নিয়ে শৃঙ্খলার বিষয়টিও দেখেন তিনি। সেজন্য অনেক সময় কর্মীদের প্রতি রাগারাগিও করেন । যদিও কর্মসূচি শেষে কর্মীদের সঙ্গে বসে চান পান করেন এবং আড্ডাও দেন। এ বিষয়ে তিনি সব সময় বলেন, ‘যিনি কর্মীদের ভালোবাসেন, শাসন করার অধিকার তারই আছে। দলের শৃঙ্খলা রক্ষায় কর্মীদের ধমক দেই, আবার তাদেরকে বুকেও টেনে নেই।’ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যস্ত থাকেন তিনি। তবে কর্মীদের প্রতি তার অগাত ভালোবাসা রয়েছে।
কর্মীদের নিজেই ফোন করে খোজখবর নেন, কোনো কর্মী ফোন করলে যেকোনো সময় রিসিভ করেন, ব্যস্ততার কারনে কল রিসিভ করতে না পারলে সেই কর্মীকে তিনিই পরবর্তীতে ফোন করেন। উপরোক্ত এসব কারনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন- আবু আল ইউসুফ খান টিপু দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৮ঘন্টাই রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকেন। নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে তিনি একজন ১৮ ঘণ্টার ‘কামলা’। অর্থাৎ ১৮ ঘন্টার কঠোর পরিশ্রমী একজন রাজনীতিক। তার এমন মেধা খাটিয়ে গতর খাটিয়ে কঠোর পরিশ্রমের কারনেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির শক্ত ভীতের উপর দাঁড়িয়ে আছেন অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।