সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের গাড়ি ভাংচুর চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। তবে গাড়ি ভাংচুর করার পর আজাদ অনুগামী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক সহ তার নেতাকর্মীদের মারধর করেছেন সুমন অনুগামী নেতাকর্মীরা, যেখানে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি নিবৃত করার চেষ্টাও করেছেন। যদিও রনির লোকজনই সাদেক ও তার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করেন। রনি মুলত সুমনের এবং সাদেক মুলত আজাদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।
ঘটনা সূত্রে, গত ৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সহ একদফা দাবি আদায় ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ সফল করতে আড়াইহাজার থেকে যথাক্রমে নজরুল ইসলাম আজাদ ও মাহমুদুর রহমান সুমনের অনুসারীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়।
সমাবেশ চলাকালীন সময়ে রাস্তার অদূরে রাখা মাহমুদুর রহমান সুমনের গাড়ি ভাংচুর চালায় আজাদ অনুগামী নেতাকর্মীরা। মুলত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটায়। এর পেছনে আজাদের নির্দেশ থাকতে পারে বলেও অনেকের ধারণা। কারন এই ঘটনার রেস ধরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বিএনপির ৪৮জন নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ। যে কারনে ওই গাড়ি ভাংচুর করার ঘটনা আরো বেশি রহস্যভূত হয়েছে। কারন এই ঘটনা সরকারকে সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার।
এখানে উল্লেখ্যযে, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে একটি বেসরকারি টিভিতে টকশোতে যান সুমন। ওই টকশোতে এমপি বাবু জানান, সুমনের বিরুদ্ধে একটি মাত্র মামলা হয়। সুমনের বিরুদ্ধে মামলাটি হওয়ার কারনে এমপি বাবুকে ফোন করেছিলেন সুমন। নেতাকর্মীদের দাবি- বাবুর সঙ্গে সুমনের আতাতের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। যে কারনে ওইদিন আজাদ অনুগামীরা সুমনকে আওয়ামীলীগের দালাল আখ্যায়িত করে তার গাড়ি ভাংচুর চালায়।