সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
‘তৃণমুল বিএনপি’ দেশের বর্তমান রাজনীতিতে বেশ আলোচিত হয়ে ওঠেছে। যদিও বিএনপির নেতাকর্মীরা বাকা চোখে দেখছেন। এই সরকারের অধীনেই তৃণমুল বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে তেমনটা আভাসও পাওয়া যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার দলটির মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়ায় নারায়ণগঞ্জের বেশকটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশি নেতাদের মাঝে বির্রুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
কারন সামনের নির্বাচনে তৃণমুল বিএনপি যদি জোটগতভাবে দেশের শীর্ষ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে তাহলে বড় দলগুলো নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে দুটি আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে। যদি আওয়ামীলীগের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে আওয়ামীলীগ কিংবা জাতীয় পার্টির কোনো এমপির কপাল পুড়তে পারে।
সূত্র বলছে, তৃণমুল বিএনপির প্রথম টার্গেট নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনটি। দ্বিতীয় টার্গেট নারায়ণগঞ্জ-৩(সদর-বন্দর) আসনটির সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনটিও। জো্টগতভাবে তৃণমুল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে এই তিনটি আসনের দিকে নজর থাকতে পারে তৃণমুল বিএনপির। যদিও এখানো নির্বাচনকেন্দ্রীক তৃণমুল বিএনপি থেকে কোনো প্রার্থী নির্বাচনের ঘোষণা দেননি।
জানাগেছে, তবে ভেতরগতভাবে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। যদি এককভাবে তৃণমুল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই থাকবে তৃণমুল বিএনপির মনোনিত প্রার্থী। আর যদি জো্টগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে তিনটি আসনের দিকেই সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে দলটির। সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকবে রূপগঞ্জ আসনের দিকে।
এক্ষেত্রে সম্ভব না হলে জোরালো হবে সোনারগাঁ আসনটি। রাজনেতিক বোদ্ধারা মনে করছেন- তৃণমুল বিএনপি যদি মহাজোটের সঙ্গে জোট করে শরীক দল হয়ে অংশগ্রহণ করে তাহলে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে দুটি আসনের বর্তমান দুজন এমপির কপাল পুড়তে পারে। তবে এসব রাজনৈতিক হিসেব নিকেশের শেষ দেখার অপেক্ষায় নারায়ণগঞ্জবাসী। কারন নির্বাচনের এখনো তফসিল ঘোষণা করেনি কমিশন।