সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
৩ নভেম্বর শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর মাসদাইরস্থ নিজ বাসভবন মজলুম মিলনায়তনে এসেছেন তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। এদিন তার বাসভবনে বিপুল সংখ্যক লোকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত ও কুশল বিনিময় করেন তিনি। পরে তিনি গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেন। গণমাধ্যমের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
প্রশ্নের জবাবে সামনের নির্বাচন সম্পর্কে সান নারায়ণগঞ্জকে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্ষণে ক্ষণে রাজনীতির পরিবর্তন হতে পারে। এখনই চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যাবে না, সকল সিদ্ধান্ত হবে দলগতভাবে। আমি এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবো না। তবে তৃণমুল বিএনপি থেকে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রার্থীরা প্রস্তুত রয়েছেন। যদি জোট হয় তাহলে জোটভুক্ত অন্য কোনো দলকে ছাড় দিতে হতে পারে। তবে তৃণমুল বিএনপি এককভাবে প্রার্থী দেয়ার জন্যও প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আগেই বলেছি সারাদেশে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়ার চেষ্টা আমাদের থাকবে। আমরা বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে বলবো না, তুমি তৃণমুল বিএনপিতে আসো। যদিও অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
৩ নভেম্বর শুক্রবার নারায়ণগঞ্জে আসবেন তৃণমুল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার-এমন খবরে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর মাসদাইর এলাকায় তৈমূর আলম খন্দকারের বাসভবন মজলুম মিলনায়তনে লোক সমাগম ঘটে। এদিন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসেন। এ সময় তৈমূর আলম খন্দকার উপস্থিত সকলের ও তাদের পরিবারের আত্মীয়স্বজনদের খোঁজখবর নেন এবং সকলের নানা সমস্যা বিপদ আপদের কথা শুনেন।
জানাগেছে, শুক্রবার সকালেই নারায়ণগঞ্জে আসেন তৈমূর আলম খন্দকার। তার সাবেক দল বিএনপির যেসব নেতাকর্মী হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন সেইসব নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়েছেন এবং খোঁজখবর নিয়েছেন। কারাবন্ধি অনেকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও খোঁঁজখবর নিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, তারা বিএনপির রাজনীতি করলেও এসব নেতাকর্মীরা আমারই, সেজন্যই খোঁজখবর নিয়েছি। আমি বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে বলবো না, তোমরা তৃণমুল বিএনপি করো।
বিকেল ৩টার দিকে মাসদাইরের মজলুম মিলতায়নে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে লোক সমাগম। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন এদিন নানা বিষয় নিয়ে তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসেন। যদিও এদিন তৃণমুল বিএনপির কোনো সভা কিংবা বৈঠক ছিলো না। মুলত তৈমূর আলম খন্দকার যেদিনই নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরের বাসায় আসেন সেদিনই তার শুভাকাঙ্খীদের ভীড় জমে।সকলের সঙ্গে তৈমূর আলম খন্দকার কুশল বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাত করেন তিনি।