জনগণের কল্যাণই হবে ‘তৃণমূল বিএনপি’র রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য: তৈমুর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির চলমান অবরোধ কর্মসূচি প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, আমি একসময় বিএনপির রাজনীতি করেছি। সবাই জ্বালাও-পোড়াওয়ের সঙ্গে জড়িত নয়। এজন্য সবাইকে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা ঠিক হবেনা। যারা প্রকৃতপক্ষে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তৃণমূল বিএনপির রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল বিএনপির রাজনীতি এমন হবে- কেন্দ্র যাবে তৃণমূলের কাছে। জনগণের কল্যাণই হবে আমাদের রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য।

অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার আরো বলেন, ‘আমি আপনাদের কমিটমেন্ট করতে চাই যে, দলের প্রত্যেক সদস্য হবে এই দলের নেতা এবং তৃণমূল বিএনপির কাছে আসতে হবে না। তৃণমূল বিএনপি যাবে তৃণমূলের কাছে। দলীয় কমিটিসহ সবকিছু কেন্দ্রভিত্তিক হবে না।

বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী বলেছেন, আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি, ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রার্থী দিতে পারব।

শমসের মুবিন চৌধুরী আরো বলেন, আমরা জ্বালাও-পোড়াও, আগুনসন্ত্রাসে বিশ্বাসী নই।আগুনসন্ত্রাস করে কোনো সমাধান আসে না। একই সঙ্গে আমরা লগি-বৈঠার তাণ্ডবও চাইনা।

সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী কারা হবেন—তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে জবাবে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে তাকিয়ে দেখেন কী কী হয়, কারা কারা আসেন।

 

সভায় দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমানসহ তৃণমূল বিএনপিতে সদ্য যোগদান করা নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বিপুলসংখ্যক সাবেক নেতা তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেন। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সাব্বির আহমেদ তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করেন।

তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন সারাদেশ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ অর্ধশত বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশ থেকে আসা এসব ব্যক্তির যোগদান উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় আসন্ন নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন দলটির নেতারা।

তৃণমূলে যোগদান করা নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, আইনজীবী, সারাদেশ থেকে আসা বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী।

বেলা সাড়ে ১১টায় যোগদান অনুষ্ঠান শুরু হয়। দলে নতুন যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের রজনীগন্ধা দিয়ে বরণ করে নেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

যোগ দিয়েছেন সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ড. সিরাজুল ইসলাম, কর্নেল (অব.) সা‌ব্বির আহ‌মেদ (যশোর), অ্যাডভোকেট মাহাবুব হাসান তুষার (সাভার), শরিফুজ্জামান খান মোহাব্বত (টাঙ্গাইল-৫), শ‌হিদুল ইসলাম (টাঙ্গাইল-৪), বাংলা‌দেশ পল্লী উন্নয়ন পা‌র্টির মহাসচিব মো. মইন উদ্দিন, স্কুলশিক্ষক আবুল কালাম আজাদ সাইফুদ্দিন, সুমন মন্ডল (বগুড়া সদর), আবু রায়হান (বগুড়া-৬), সা‌জিদ খান (নারায়ণগঞ্জ), লস্কর হারুনুর র‌শিদ (এল‌ডি‌পি থে‌কে যোগ দেন), শাহাদাত চৌধুরী (চট্টগ্রাম), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স‌ন্তোষ শর্মা (চট্টগ্রাম-৮), দ‌লিল উদ্দিন (পটুয়াখালী), সৈয়দ আহ‌মদ ( নোয়াখালী ১), মো. শাহ আলম (কক্সবাজার), খায়েজ আহ‌মেদ ভূইয়া (ফেনী-৩), চার্লস বৌদ্ধ (গোপালগঞ্জ), অপু বৌদ্ধ (ঢাকা ১৭), জাতীয় পার্টির সা‌বেক নেত্রী ডা. আইভি সরকার, মোহাম্মদ আলী (নেত্রকোনা), মু‌জিবুর রহমান খান (নেত্রকোনা ৫), হা‌ফিজুল ইসলাম (খুলনা ৬),
আবুল বাশার চৌধুরী (বা‌ঘেরহাট-৪), ইঞ্জি‌নিয়ার শেখ শাহীন রহমান (মানিকগঞ্জ-১), এনা‌য়েতুল ইসলাম (পটুয়াখালী ৩), মোহাম্মদ মোশাররফ (জয়পুরহাট), আব্দুল মোতালেব (নওগাঁ), নাবির উদ্দিন খান (খুলনা), মাসুম রেজা (জয়পুরহাট), নাজমুল শিকদার (নরসিংদী), শাহাদাত হোসেন মাসুদ (নরসিংদী), শওকত তালুকদার (নেত্রকোনা), শহিদুল ইসলাম, শওকত।