সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও আহব ায়ক কমিটির সদস্য ডা. মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি, সেই সাথে টিপুসহ গ্রেফতার সকল নেতা কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন তারা। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “এই সরকার আবারো একটি পাতানো নির্বাচন আয়োজনের জন্য বিরোধী মত দমনে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। বুধবার ৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে যেভাবে গলায় পেচিয়ে ধরে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ গ্রেফতারকৃত সকল বিএনপি নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।”
“প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আপনারা নির্দিষ্ট একটি দলের পক্ষ হয়ে কাজ করবেন না। আপনারা নিরপেক্ষ থাকুন, দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা করুন। অন্যথায় আন্দোলন করে বাংলার জনগণ এই দাবি আদায় করে ছাড়বে।”
উল্লেখ্য, বিএনপির ডাকা তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘন্টার অবরোধের প্রথম দিন বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে ঝটিকা মিছিল বের করার সময় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ বুধবার সকাল পৌনে ৯টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনালের সামনে অবরোধের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বের করার চেস্টা করে। ওই সময় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার সাদা পোশাকে পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে । এর কিছুক্ষণ পরে গ্রেপ্তার করা হয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা. মুজিবুর রহমানকে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনালে নাশকতা করার সময় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের পর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা সহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় টিপুর বিরুদ্ধে ৭টি মামলা হয়।