সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
জটিল সমীকরণের মধ্যে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) সংসদীয় আসনের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর ভোট গ্রহণে থাকা বা না থাকার বিষয়টি। এখানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দিলেও বহাল রয়েছেন বিগত নির্বাচনের মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এরি মাঝে নির্বাচনী মাঠে আছেন স্বতন্ত্র শক্তিশালী একজন প্রার্থী। এখন মহাজোট নিয়ে জটিল সমীকরণের মধ্যে পড়েছেন নৌকা ও লাঙ্গলের দুই প্রার্থী। যদিও আরো বেশকজন প্রার্থী বিভিন্ন দল থেকে নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছেন। তবে
এদিকে মহাজোট গঠিন নিয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। স্বস্থিতে নেই জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাও। তবে মহাজোট হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল হয়ে ওঠবে প্রধান প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী। যদিও এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমনিতেই নৌকা ও লাঙ্গলের বিপরীতে বেশ শক্তিশালী মাসুদ দুলাল।
এ আসনটি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ঘটবে প্রকৃত ঘটনা। যদি জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ১৪ দল আবারো মহাজোট গঠিত হয় তাহলে এ আসনটি জাতীয়পার্টি আবারো দাবি করবে। যদি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে আবারো নৌকার প্রার্থীকে তার মনোনয়নপত্রটি প্রত্যাহার করতে হতে পারে। তবে বর্তমান এমপি খোকা মহাজোটের চূড়ান্ত প্রার্থী হলেও শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী এএইচএম মাসুদ দুলালের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। কারন মাসুদ দুলাল নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকার লক্ষ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আবার যদি মহাজোট গঠিত হওয়ার পরেও নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থীকে মাঠে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলেও মাসুদ দুলালই হয়ে ওঠবে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী। ফলে সামনের নির্বাচনে সবদিকেই মাসুদ দুলালকে মোকাবেলা করেই জয়ী হতে হবে হয়তো কায়সার নয়তো খোকাকে। এ ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীরা কায়সার হাসনাত কিংবা এমপি খোকার সঙ্গে লড়াইয়ে যেতে পারবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিকবোদ্ধারা। যে কারনে এখন থেকেই সোনারগাঁয়ে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার হলেও মাসুদ দুলাল হবে মহাজোটের প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্ধি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে মনোনয়ন বৈধতা পাওয়া, নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনিত হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মনোনিত হয়েছেন এ আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এরফান হোসেন দ্বীপ, স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সার হাসনাতের সহধর্মিনী রুবিয়া সুলতানা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার ছেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মারুফুল ইসলাম ঝলক স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
এ ছাড়াও এখানে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মনোনিত প্রার্থী মজিবুর রহমান মানিক, মুক্তিজোটের প্রার্থী আরিফ, বিএসপির প্রার্থী আসলাম হোসাইন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী নারায়ণ দাস ও বিএনএমের প্রার্থী এবিএম ওয়ালিউর রহমান খান মনোনয়নপত্র জাম দিয়েছেন, যাদের সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।