সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বন্দরে একটি প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে ৩৮ কেজি গাঁজা ও মাদক বিক্রির নগদ ১৭ হাজার টাকা এবং ১টি মোবাইলসেটসহ রনি (২৭) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১ আদমজীনগর। ওই সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে আরও দুই মাদক কারবারি। গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী রনি কুমিল্লা জেলার সদর থানার দুরিবাত এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে।
পলাতক মাদক ব্যবসায়ী ফারুক (৩৫) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন থানার শিবপুর এলাকার সাদেকুর রহমানের ছেলে ও জামাল (৫০) একই জেলার একই থানার মাদবাড়িয়া এলাকার মৃত সুন্দর আলী মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত মাদককারবারি রনীকে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মাদক মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে গত রোববার( ১০ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের কল্যান্দী বাসস্ট্যান্ডের সামনে পাকা রাস্তার ওপর অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে প্রাইভেট কার তল্লাশি চালিয়ে উল্লেখিত গাঁজাসহ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব ১১ আদমজীনগরের ডিএডি মোঃ এমদাদুল হক বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী রনীসহ ২ পলাতক মাদক ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে।
জানাগেছে, গত রোববার রাতে র্যাব -১১ আদমজীনগরের ডিএডি এমদাদুল হকসহ সঙ্গীয় ফোর্স বন্দরে মদনপুর বাজার এলাকায় টহল ডিউটি করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকের একটি চালান নিয়ে বন্দরে উদ্দেশে রওনা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রাপ্ত হয়ে উল্লেখিত থানাধীন কল্যান্দী বাসস্ট্যান্ডের রহমানিয়া স্টোরের সামনে অবস্থান নিয়ে অস্থায়ী চেক পোষ্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি চালায়। ওই সময় ঢাকা মেট্রো গ ২৯ -৮৮২৪ এবং ঢাকা মেট্রো গ ১৭ -২০০৪ নাম্বারের প্রাইভেটকারকে থামানোর সিগনাল দিলে সামনে থাকা ঢাকা মেট্রো গ ২৯ -৮৮২৪ নাম্বারের প্রাইভেটকারটি থামলে পিছনে থাকা অপর প্রাইভেট কার ঢাকা মেট্রো গ ১৭ -২০০৪ নাম্বারের গাড়ি ভিতরে থাকা দুইজন মাদক ব্যবসায়ী র্যাব-১১ উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।
পরে প্রথম গাড়িতে ঢাকা মেট্রো-গ ২৯-৮৮২৪ এর ভিতরে থাকা মাদক ব্যবসায়ী রনিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। সে সাথে পলাতক আসামীদের ফেলে যাওয়া প্রাইভেটকারে তল্লাশী চালিয়ে ১ টি প্লাস্টিকের বস্তায় রক্ষিত পাঁচটি বান্ডেলের রক্ষিত ৩৮ কেজি গাঁজা ও ও মাদক বিক্রির নগদ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।