সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
অভিনব কায়দায় ভাঙ্গারি মালামালের আড়ালে গাঁজা পরিবহনকালে ২৪ কেজি গাঁজাসহ ৪ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে বন্দর থানাধীন মদনপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ১২ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর কোম্পানী কমান্ডার, উপ-পরিচালক, মেজর অনাবিল ইমাম।
তিনি আরো জানান, মাদকদ্রব্য নির্মূলে ও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে যুব সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে র্যাব-১১ বদ্ধপরিকর এবং এ লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে র্যাব-১১ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে এবং বিভিন্ন সময়ে র্যাব-১১ বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল অদ্য১২ মার্চ ২০২৪ তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন মদনপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে পিকআপের পিছনে ভাঙ্গারি মালামাল ভর্তি বস্তা বোঝাই অবস্থায় অভিনব কায়দায় বস্তার নিচ হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য (২৪ কেজি গাঁজা) ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ জব্দ সহ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী মোঃ নাছির, মোঃ সুমন, মোঃ শাকিল মিয়া, মোঃ সালাউদ্দীনকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা পারস্পারিক যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বড় আকারের চালান দীর্ঘদিন যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অভিনব কৌশলে গাঁজা সংগ্রহ করে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশেপাশের জেলায় বহন ও সরবরাহ করে।
গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যাবসায়ীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসংক্রান্তে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য এবং মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে যুব সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।