সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আগামী ৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ভোটের আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোটের মাঠে নেমেছেন পুরোদমে। নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ না করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে চেয়ারম্যান পদে থাকবেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান মুুকুল। এখানে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির যেসব নেতারা ভোটের মাঠে নেমেছেন তাদের চেয়ে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে আতাউর রহমান মুকুলই শক্ত প্রার্থী। তিনি এর আগেও দুই মেয়াদে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল। বৈঠকে তিনজনের নাম আওয়ামীলীগের কেন্দ্র থেকে সমর্থনের জন্য পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। যাদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম। এদের মধ্যে যাকে কেন্দ্র সমর্থন ঘোষণা করবে তাকেই স্থানীয় আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী করতে কাজ করবেন। যদিও এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা দেয়া হচ্ছেনা।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির দুজন নেতা নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও তারা জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের আশা করছেন না। তারাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে থাকার লড়াইয়ে মাঠে থাকার আভাস দিয়েছেন। প্রচার প্রচারণাও চালাচ্ছেন বেশ। এদের মধ্যে অন্যতম মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, বন্দর উপজেলা পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল বন্দর উপজেলায় বেশ জনপ্রিয়। বন্দর উপজেলা বিএনপির ঘাটি। তার চাচাতো ভাই নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনের ৪ বারের নির্বাচিত সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। পারিবারিকভাবে রাজনীতিতে আশা মুকুল এখানে বেশ জনপ্রিয়। শুধু বিএনপিতেই নয়, আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির সমর্থকদের ভোটও পাবেন মুকুল। যেসব প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে আতাউর রহমান মুকুলকেই সবচেয়ে জনপ্রিয় মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা মনে করেন-নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট হলেও বাকিদের পেছনে ফেলে মুকুলই হবেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ রশিদ প্রধান প্রতিদ্বন্ধি হয়ে ওঠবে কিনা সেটা নিয়েও দোয়াশা রয়েছে অনেকের।