সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২০০৯ সালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্টিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী থাকার সুবাধে তৎকালীন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। এরপর ফতুল্লা ইউনিয়ন নিয়ে মামলা জটিলতায় আটকে আছে এই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। বর্তমান উপজেলা পরিষদটি নির্বাচন উপযোগী হলেও যেকোনো সময় আইনি জটিলতায় আটকে যেতে পারে এই উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। ফলে আবারো চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকতে পারেন আজাদ বিশ্বাস।
রাজনৈতিক সূত্রে জানাগেছে, এই এলাকাটি মুলত নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের সংসদীয় আসনের এরাকা। এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করার জন্য আগে থেকেই আলোচনায় আছেন মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনিজাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল।
বিএনপি নির্বাচনে না এলেও বর্তমান চেয়ারম্যান আজাদ বিশ্বাস নির্বাচনে দাঁড়াবেন কিনা সেটা নিয়ে বড় প্রশ্ন। ভিন্ন সূত্র বলছে, আইনি জটিলতা সৃষ্টির জন্য আবারো দৌড়যাপ করছেন আজাদ বিশ্বাস। উচ্চ আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তি হওয়ার পর সেখানে আপিল করা হয়। সেই আপিলও খারিজ হয়ে গেছে। তবে সেই আদেশের বিরুদ্ধে আবারো আইনি প্রক্রিয়া চলমান থাকলে আটকে যাবে নির্বাচন। সেই চেষ্টাই অব্যাহত রেখেছেন আজাদ বিশ্বাস। যদিও মামলার বাদী তিনি নন। তার অনুগামী একজনকে দিয়ে মামলা করানো হয়েছে বলে দীর্ঘদিন যাবত এমন আলোচনা।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৪ মে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলাটি এখনো পর্যন্ত নির্বাচন উপযোগী হিসেবে রয়েছে। তবে যদি ভোটের আগে আদালতের কোনো নির্দেশনা আসে তাহলে সেটা ভিন্ন কথা। মামলার বিষয়টি আবারো সচল হলে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না।