সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার মেঘনা বেষ্টিত কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নবাসীর ২০ বছর ধরে মাংসের যোগান দিয়ে আসছেন ইজারকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে দিদার কসাই।
স্থানীয়রা জানান, আড়াইহাজার সদর থেকে এই ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। অত্র ইউনিয়নের লোকজনের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে সদরে আসতে অনেক কষ্ট হয়। তাই ওই ইউনিয়নবাসী তাদের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য নির্ভর করতে হয় কসাই দিদারের উপর। আর দিদার কসাইও সুনামের সাথে সুস্থ, সবল ও সুঠাম দেহের অধিকারী গরু, ছাগলের মাংস ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করে পুরো ইউনিয়নবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন।
কসাই দিদার ওই ইউনিয়নবাসীর বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো মাংসের যোগান দিয়ে ওই ইউনিয়নের ইজারকান্দি বাজার, সাহেব বাজার, রাধানগর বাজার এবং খালিয়ারচর চর বাজারে ও মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য ২০ বছর যাবত মাংস বিক্রি করে আসছেন।
ওই ইউনিয়নের ইজার কান্দিগ্রামের এবাদুল্লাহ (৭০) , রিফাত উল্লাহ (৬৫) এবং নুরু (৬৮) সাথে আলাপকালে তারা জানান, আমাদের পুরো কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের লোকজনের মাংসের চাহিদা মিটিয়ে থাকেন দিদার কসাই, সে ভালো এবং সুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করায় আমরা তার কাছ থেকে মাংস কিনে খাই। তারা আরো বলেন, দিদার কসাই কখনো অসুস্থ এবং দুর্বল গরুর মাংস বিক্রি করেন না, তাই তার কাছ থেকে ইউনিয়নের সবাই মাংস কিনে খায়।
দিদার কসাই বলেন, আমি ২০ বছর যাবত এই ইউনিয়নে অল্প লাভে মাংস বিক্রি করে আমার সংসার চালিয়ে আসছি, যতদিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকি ততদিন যেন সত্যতার সাথে আমার এই ব্যবসা করে যেতে পারি।