শুভ্র ও শুভ্রার পরিবেশ প্রত্যাশা
শুভ্র ও শুভ্রা জন্ম-জন্মান্তের সাথী
শুভ্রর বসবাস এখন আকাশ জুড়ে
যেখানে নীল রং খেলা করে আলোর দীপ্তি ছড়ায়
মেঘেরা মায়া ছড়ায়, কখনো সাদা মেঘের ভেলা
কখনো বা মায়াবতী বৃষ্টি হয়ে ঝরে……
রুপালী চাঁদ স্নিগ্ধতার হাসি হাসে
অগণিত তারারা যেন আলোকের ঝর্ণা ধারা
সোনালী সূর্যটা মুচকি হেসে শুভ্রতা ছড়ায়!
এত কিছুর মাঝে শুভ্র’র মতো সুখী যেন কেউ নেই!
পৃথিবীর বক্ষে শুভ্রা এক বন্দী পাখি
যন্ত্রণায় তার দিনরাত ছটফটানি!
দুষিত বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়,
নিকট অতীতে নৌকায় চড়ে নদীর স্বচ্ছ জলে
পা দুলানো শুভ্রার পা আজ নদীর পচা কালো জলে পুড়ে যাওয়া কাঠ কয়লার মতো
ভেজাল খাবার, ভেজাল পানি পান করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গড়বড়ে!
পৃথিবীর বুকে চাঁদ কিছুটা দয়া করে স্নিগ্ধতা ছড়ালেও সূর্য আর বৃষ্টি দারুণ বিমুখ!
কিছু মানুষরূপী জানোয়ারের স্বার্থপরতা, নীতিহীনতা, প্রকৃতিকে নিধনের কারণে তারা পণ করেছে-
সূর্য মিঠেল রোদ্দুর না দিয়ে ধরায় খরা ঢালবে
আর বৃষ্টি মেঘ থেকে না ঝরে আকাশেই মিলিয়ে যাবে
শুভ্র তুমি কি বুঝতে পারো- পৃথিবীটা কেমন বসবাসের অযোগ্য?
কেন বুঝব না শুভ্রা, আমিও তো এ পৃথিবীতেই…..
তাহলে তো তুমি খুব স্বার্থপর শুভ্র!
পৃথিবীতে তোমার ফুলকে ফেলে, ফুলের সৌরভকে ফেলে নিরাপদ অবস্থান করছো?
তা নয় প্রিয়তমা! এ পৃথিবীকে নিরাপদ করতে অনেক ভেবেছি, অনেক চেষ্টাও করেছি!
কিন্তু একা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়!
সকলের সম্মিলিত চেষ্টা করতে হবে, তবেই……
আর স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর লাগাম টেনে ধরতে হবে!
এখন তোমরা সকলে মিলে বসবাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য যুদ্ধ করে যাবে……
নিশ্চয়ই একদিন সফল হবে।
আর পৃথিবীর দূষণ যাতে আকাশকে কলুষিত করতে না পারে সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাব……
যেন এক দিন শুভ্র ও শুভ্রার আকাশ ও পৃথিবী
সকলের জন্য বাসযোগ্য হয়!
রচনায়:
সুজাতা আফরোজ
অনুষ্ঠান নির্বাহী
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ।