নখদন্তহীন সজল-সাহেদ: আজাদ-জোসেফে বিলুপ্ত মহানগর যুবদল?

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

কাগজে কলমে আনুষ্ঠানিকভাবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বৈধ কমিটি বিলুপ্ত না হলেও রাজনৈতিকভাবে বিলুপ্তি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বৈধ কমিটির। যেখানে মহানগর যুবদলের শীর্ষ নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে মহানগর যুবদলের নেতৃত্ব প্রত্যাাশি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ। অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো যেখানে মাদার সংগঠনের নেতৃত্বে দলীয় নিয়ম নীতি শৃঙ্খলা মেনে চলার কথা, সেখানে মাদার সংগঠনের নেতাদের কর্মকান্ডেই বিশৃঙখলা দেখা গেলো।

ঘটনা সূত্রে, গত ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ব্যানারে কেএম মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, যিনি মহানগর যুবদলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রত্যাশি। নগরীতে অনুষ্ঠিত তার দোয়া আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কমিটি গঠনের পূর্বে থেকেই পৃথক বলয় নিয়ে সরব ছিলেন জোসেফ। মহানগর যুবদলের কমিটি গঠনের পর কঠোর বিদ্রোহী করে আসছিলেন তিনি। যেখানে মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা চালিয়ে মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতাকে পিটুনি দিয়েছিলেন জোসেফের নেতৃত্বে তার লোকজন। অথচ সেই জোসেফের আয়াজিত কর্মসূচি পালিত হলো নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ব্যানারে, সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হলেন আজাদ। দলের শৃঙখলা যার মেনে চলার কথা, অথচ তিনিই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।

শুধু তাই নয়, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুও গিয়েছেন জোসেফের সেই কর্মসূচিতে। অথচ তাদের কর্মসূচিতেই হামলা চালিয়েছিলো জোসেফের নেতৃত্বে তার লোকজন। যে ঘটনায় মামলাও হয়েছিলো, সেই মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা আসামী হোন। মহানগর বিএনপি নেতা জাকির খানের আপন চাচা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খানকেও সেদিন ব্যাপক মারধর করা হয়েছিলো। অথচ সেই কর্মসূচিতে সাখাওযাত ও টিপুর উপস্থিতি দেখা গেলো।

এ ছাড়াও নখদন্তবিহীন মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধানকেও দাওয়াত করা হয়নি। যেখানে ব্যানারে অতিথির নামে তাদের নামও দেখা যায়নি। অথচ আজাদ সহ মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা বিদ্রোহী যুবদলের অনুষ্ঠানে সাদরে অতিথি হয়েছেন। এই কর্মসূচি পালন শেষে মহানগর যুবদলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা প্রশ্ন রেখেছেন- তাহলে কি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বৈধ কমিটি বিলুপ্ত হয়ে গেলো? এবং জোসেফের নেতৃত্বে হয়ে গেলো মহানগর যুবদল?

ঘটনা সূত্রে, জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর ওই অনুষ্ঠানে কে এম মাজহারুল ইসলাম জোসেফের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম আজাদ , প্রধান বক্তা ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন খান, বিশেষ বক্তা ছিলেন আবু আল ইউসুফ খান টিপপু। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ছাদেকুর রহমান ছাদেক।

জোসেফের অনুগামী যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী নওশাদ তুষার, সাবেক সহ-সভাপতি কাজী সোহাগ, সাবেক সিনিয়র যুবদল নেতা এম সাগর, আখতারুজ্জামান মৃধা, নূর আলম খন্দকার, হাজ্বী সাঈদুর রহমান, সুমন ভূঁইয়া, আল মামুন, মিজানুর রহমান, আখতার হোসেন, জাকির হোসেন, শফিকুল আলম মুক্ত, আতিকুর রহমান সবুজ, শাহীন ঢালী, সেলিম খন্দকার, মিঠু আহমেদ, মোঃ মুসা, মাহবুব মন্ডল, নূর আলম প্রধান, কাজী নূর আলম, ফারহান আহমেদ রুবেল, মোস্তাফিজুর রহমান বাহার, সিকদার বাপ্পি চিঁশতী, ওসমান গনি, ফারুক হোসেন, সাঈদ প্রধান, রানা আহমেদ ময়নূল, আনোয়ার সানি, মাহমুদুল হাসান মাসুম, হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন, সোহেল আহমেদ, ইসলাম মিয়া, আলমগীর হোসেন, মনোয়ার হোসেন মনা, খায়রুল ইসলাম,আল আমিন খান, মহিউদ্দিন খান, আঃ রাহিম, মোহাম্মদ লিটন, সজীব হোসেন, আল আমিন শান্ত, রুবেল হোসেন, হারুন উর রশীদ, পান্না হায়দার খান হীরা সহ জোসেফের অনুগামী নেতাকর্মীরা।