সোনারগাঁয়ে মান্নান ও মোশারফের সিদ্ধান্তের প্রতি অটল বিএনপির নেতাকর্মী

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরীর মধ্যে সাতটি থানা এলাকা নিয়ে বিএনপির সাংগঠনিক এলাকা। যেখানে নারায়ণগঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংগঠিত বিএনপির সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি। যেখানে নেতৃত্বে দিচ্ছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান ও মোশারফ হোসেন। এক সময় এখানকার বিএনপির একক নিয়ন্ত্রনে ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েক বছর রেজাউল করিমের সরব অবস্থান দেখা গেলেও দেড় যুগ পাড় হয়েছে সোনারগাঁয়ে তার কোনো অস্তিত্ব নেই। একই দশা হয়েছে ঘা বাঁচিয়ে রাজনীতি করে আসা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফরের। ফলে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি এখন মান্নানের একক কর্তৃত্বে সুসংগঠিত দলে পরিণত হয়েছে, যেখানে তাকে সহযোগীতা করছেন মোশারফ হোসেন। তারা দুজন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দাযিত্ব পালন করছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, গত ৭ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস পূর্বে থেকেই লাগাতার আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। সেইসব মামলায় এখনো সকল নেতাকর্মীরা জামিন নিতে পারেননি। তবে এত্তকিছুর পরেও দমেনি সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা এখনো আশাবাদী সামনে অচিরেই ঘুরে দাঁড়াবে বিএনপি। তারা মনে করেন- বৃহত্তর জনগণের সমর্থনে বিএনপি একদিন সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ট হবে। প্রতিবছরের ন্যায় গত ঈদ উল ফিতরেও সোনারগাঁও উপজেলায় ইফতার দোয়া মাহফিল ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি।

গত ঈদ উল ফিতরে সোনারগাঁও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ইফতার দোয়া মাহফিল ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এসব কর্মসূচি টানা পালিত হয়। প্রতি বছরের ন্যায় উপজেলা বিএনপি অসহায় দুস্থ গরীব পরিবারগুলোর মাঝে এসব ঈদ সামগ্রী বিতরণও করেছেন। এসব কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণও করেছেন। জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত হলেও তারা মানসিকভাবে শক্ত রয়েছেন।

সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হযেছে গত ২১ মে। সেই নির্বাচনে বিএনপি পুরোদমে বয়কট করেছে। নির্বাচন বর্জনের দাবিতে নিয়মিত সোনারগাঁয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ করেছেন। নির্বাচনের দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের ভোট কেন্দ্রের আশপাশে দেখা যায়নি। মান্নান ও মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে তারা দলের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।