সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
মাত্র তিন সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলে। এই তিন সদস্যের কমিটি গঠনের ১১ মাস হতে চললেও শীর্ষ তিন নেতাকে একসাথে বসতে দেখা যায়নি একদিনও। দলীয় কর্মসূচিগুলোও পালন করছেন পৃথকভাবে। কবে নাগাদ নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি কিংবা পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে, অথবা আদৌ কমিটি হবে কিনা তা নিয়ে বিরাট সন্দিহান নেতাকর্মীরা। তিনজন নেতা দুইভাগে কর্মসূচি পালন করছেন, যেখানে কর্মীদের পদ পদবী দেয়ার লোভও দেখাচ্ছেন। কিন্তু আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের যেখানে কোন ঐক্য নাই সেখানে এভাবে চলতে থাকলে আগামী এক যুগেও তাদের উভয় বলয়ের কর্মীদের ভাগ্যে জুটবে না কোনো পদবী সেটা প্রায় হলফ করেই বলা যায়।
জানাগেছে, গত বছরের ২৯ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের তৎকালীন সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন। সাদেকুর রহমান সাদেককে আহ্বায়ক ও মশিউর রহমান রনিকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় খাইরুল ইসলাম সজীবকে।
কমিটি গঠনের পর থেকে সাদেকুর রহমান সাদেক ও খাইরুল ইসলাম সজীব জেলা যুবদলের ব্যানারে এককভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছেন। একইভাবে মশিউর রহমান রনিও এককভাবে তার অনুগত নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথকভাবে জেলা যুবদলের ব্যানারে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছেন। কমিটি গঠনের পর নারায়ণগঞ্জে কোনো কমিটি গঠনের বিষয়ে তাদের তিনজনকে একসাথে বসতে দেখাও যায়নি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় যুবদলের কমিটি গঠনের বিষয়ে আনন্দ মিছিলও করেছেন তারা পৃথকভাবে।
তাদের মাঝে অনৈক্যের কারন হিসেবে জানাগেছে, সাদেকুর রহমান সাদেক মুলত রাজনীতি করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলয়ে এবং মশিউর রহমান রনি রাজনীতি করছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনের বলয়ে। নজরুল ইসলাম আজাদ ও মাহামুদুর রহমান সুমনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের নিয়ন্ত্রন নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এরি মাঝে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নানের ছেলে সজীব আছেন সাদেকুর রহমানের সঙ্গে। কারন এর আগে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন রনি ও সেক্রেটারি ছিলেন সজীব, সেই সময় থেকেই তাদের মাঝে বিরোধ।