সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপি-জামাত যেভাবে নৈরাজ্য ও নাশকতা সৃষ্টি করছে আমরা তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার ইস্যুতে আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের ভিতরে প্রবেশ করে বিএনপি-জামাত সরকারের প্রতিষ্ঠান সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর করেছে এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। বিএনপি-জামাত যেভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে সেই ভাবেই তাদেরকে প্রতিহত করবো। তাদেরকে কোন ভাবে ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে চোখ কান খোলা রেখে নিজ নিজ এলাকায় শক্ত ভাবে অবস্থান নিয়ে বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও নাশকতাকারীদের প্রতিহত করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকার আহবান করেন তিনি।
৩১ জুলাই বুধবার ( বিকালে কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের মিলনায়তনে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় সাইফউল্লাহ বাদল এসব কথা গুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে আমরা ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য ও নাশকতার প্রতিরোধে যেভাবে মাঠে ছিলাম ঠিক ঐ ভাবেই মাঠে থেকে বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্য ও নাশকতাকারীদের প্রতিহত করতে হবে। শুধু কাশিপুর হতে পঞ্চবটি নয়, লিংক রোড এবং সাইনবোর্ড সহ ফতুল্লার প্রতিটি এলাকায় আমাদের দলের নেতাকর্মীরা যেন রাজপথে অবস্থান নেয়।
সভায় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলীর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান, ওয়ালী মাহমুদ, একেএম শহিদুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, মোস্তফা কামাল, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমেন শিকদার, এইচ এম ইসহাক, ফরিদ আহমেদ লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মাসুম, এমএ মান্নান, সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল্লাহ রতন, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মতি প্রধান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সফিউল্লাহ সফি, কোষাধ্যক্ষ জাকারিয়া জাকির, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর মাস্টার, প্রচার সম্পাদক জাহেদুল হক খোকন, সহ-প্রচার সম্পাদক রেহান শরীফ বিন্দু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বিউটি, আওয়ামী লীগ নেতা মিছির আলী, জসিম উদ্দিন, আবু মোহাম্মদ শরীফুল হক প্রমুখ।
এদিকে সভায় বক্তারা বর্তমান দেশের পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের কোন্দল না দেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থেকে বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্য ও নাশকতার প্রতিরোধ গড়ে তুলে তাদেরকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে হবে। বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যকারীরা যাতে মাঠে নামতে না পারে সেদিকে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ কখনো মাইর খেতে শিখেনি মাইর দিতে শিখেছে। তাই এখনো সময় আছে বিএনপিকে বুকে না রেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।