সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার আওতাধীন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন একটি কর্মী সভায় কুতুবপুর ইউনিযন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও মিন্টু মেম্বারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন। সেই বক্তব্যের জের ধরে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় (জ্বালাও-পোড়াও, নাশকতা করতে ৫ লাখ টাকা দেন চেয়ারম্যান সেন্টু) শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পর সেন্টু চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিনের বক্তব্যের সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
২৯ জুলাই সোমবার রাতে দেলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সেন্টু চেয়ারম্যান বলেন, আমি ঈদুল আযহার পরে চিকিৎসা ও পারিবারিক কাজে দেশের বাহিরে ছিলাম এবং ১৭ জুলাই দেশে আসি কিন্তু দেশে যে আন্দোলন চলছে এই বিষয়ে তেমন কিছু জানতাম না পরে ১৮-১৯ জুলাই সেই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক তান্ডব শুরু হয়েছে তখন আমি থানা আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে ফোনে কথা বলি এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলি যে এই মুহূর্তে আমি কি করতে পারি তারা জানিয়েছেন উপরের মহলের কোনো নির্দেশনা নেই, আমি এমপি সাহেবের সাথেও কথা বলার চেষ্টা করেছি কিন্তু উনাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিলো না। যেখানে আমি আসার একদিনের মাথায় জামাত-বিএনপি ও বিপদগামী একদল ছাত্র সংগঠনসহ সারা দেশে যে তান্ডব চালিয়েছে সেই নাশকতাকারীদের নাকি আমি ৫ লাখ টাকা দিয়েছি এমন মন্তব্য করেছেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, আমি তার এই বক্তব্যের সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
তদন্ত করে যদি আমার বিরুদ্ধে কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারে তাহলে আপনাদের কাছে বলছি আমাকে যা শাস্তি দিবেন মাথা পেতে নিবো। আর যদি জসিম উদ্দিন তার বক্তব্যের প্রমাণ না-দিতে পারে তাহলে কি করবেন এটা আমি আপনাদের কাছে বিচার দিলাম। এখানে থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসহাক ও কার্যকরি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত আছেন তারা ওই বক্তব্যের সময় উপস্থিত ছিলেন তাৎক্ষণিকভাবে তারা ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সেন্টু চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমি মাদক-সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিদের বিরুদ্ধে কথা বলি এবং প্রতিরোধ করি তাই সেই অপকর্মের সাথে জরিত থাকা একটি কুচক্রী মহল সবসময় আমার বিরোধিতা করে সেই কুচক্রী মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জসিম উদ্দিন এমন বক্তব্য দিয়েছেন আমার মনে হচ্ছে। আমি এমপি সাহেবকে জানিয়েছি মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির সাথে আমি কখনো আঁতাত করবো না কারণ তাহলে আমার বদনাম হবে, আমার এমপি শামীম ওসমানের সুনাম ক্ষুন্ন হবে এবং আওয়ামী লীগ দলের বদনাম হবে এটা আমি হতে দিতে পারি না তাই মাদক সন্ত্রাসীদের সাথে আমি আঁতাত করতে পারি না এজন্যই তারা আমার বিরোধিতা করে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মুঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসহাক, কার্যকরি সদস্য মমিন মাদবর, জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা হাফেজ আহাম্মদ খোকা, ফজুল হক, মোতালেব মোল্লা, আনোয়ার হোসেন, আমির হোসেন সাগর মেম্বার, জাহাঙ্গীর মেম্বার সহ কুতুবপুর ইউনিয়ন বিভিন্ন স্তরের সামাজিক নেতৃবৃন্দ।