আড়াইহাজারে শ্বশুরবাড়িতে জামাতার ঝুলন্ত লাশ: দাবি হত্যা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শ^শুরবাড়ীতে ডেকে নিয়ে প্রবাস ফেরত জামাতা বেলায়েতকে হত্যা করে ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী রিদু আক্তার (২৩) ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩ আগস্ট শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলার গোপালদী পৌরসভার দাইরাদী এলাকায়। নিহত বেলায়েত উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের গহরদী গ্রামের হাজী আফাজউদ্দিনের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত বেলায়েতের লাশ সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো এবং তার হাঁটু পর্যন্ত খাটের উপরে ভাজ করা অবস্থায় রয়েছে। নিহতের বড় বোন রাজিয়া কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, মাত্র ১৫/২০ মিনিট আগে বেলায়েতের স্ত্রী রিদু আক্তার তাকে ফোন করে শ্বশুর বাড়ীতে আসতে বলে। স্ত্রীর ফোন পেয়ে তরিগরি করে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে বেলায়েত শ্বশুরবাড়ীতে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর তারা সংবাদ পান যে, বেলায়েত তার শ্বশুরবাড়ীতে শোবার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, এটি আত্মহত্যা না, রিদু আমার ভাইকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ফোন করে ডেকে এনে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। তিনি নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে মামলা করবেন বলেও সাংবাদিকদেরকে জানান।

নিহতের বড় ভাই বিল্লাল হোসেন জানান, প্রায় দুই বছর আগে দাইরাদী গ্রামের নেতাহি মিয়ার মেয়ে রিদু আক্তারের সাথে বেলায়েতের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রীকে ৫ মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা অবস্থায় রেখে বেলায়েত মালয়েশিয়া প্রবাসে চলে যান। ইতি মধ্যে স্ত্রী রিদু আক্তার অপর এক ছেলের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে বেলায়েতের বিদেশ থেকে পাঠানো সর্বস্ব নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। গত প্রায় ৫ মাস আগে বেলায়েত দেশে এসে স্ত্রীকে ঢাকা থেকে ফিরিয়ে এনে ফের সংসার করতে থাকেন। তাদের শিহাব (১) নামে একটি ছেলে রয়েছে । শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে রিদু আক্তার পিত্রালয়ে চলে আসে। এর পর শনিবার সকালে স্বামীকে ফোন করে তার পিত্রালয়ে আনার পর পরই এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনী প্রকৃয়া চলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।