বিএনপির নেতাকর্মীরা বেশি লাফাইয়েন না, সাইজ করে দেযা হবে: গিয়াসউদ্দীন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যত লম্বা হবেন সাইজ করে দেয়া হবে। কাউকে আমি ছাড়বো না। চোখ বন্ধ করে কাক মরিচ রাখে, মনে করে কেউ দেখে না, কাক এতই বোকা যে সবাই দেখে কিন্তু সে মনে করে কেউ তাকে দেখেনি। আমাদের নেতৃবৃন্দ ঘুমাইয়া ঘুমাইয়াও যদি কিছু করেন আমাদের কাছে খবর আসবেই, ইতিমধ্যে আমাদের কাছে খবর আসছে কারা কি করতেছেন। এখন আপনারা মিলাদ করবেন? এখন আপনারা মিছিল করবেন? আনন্দ করবেন? ৫ আগস্টের পর কর্মটা করছেন কি? এগুলো কিন্তু আমাদের কাছে আছে, বেশি বাড়বেন না, আমি দলের সভাপতি, বেশি কেউ লাফাইবেন না, অপরাধ করে যত লম্বা হবেন, সাইজ করে দেয়া হবে। আমি মুখে যা বলি অন্তরেও তা ধারণ করি। আমার থেকে যত বড়ই হোক, থোরাই কেয়ার করি।

১৪ আগস্ট বুধবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমলাইল এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্বের বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বিজয়ের পর সুবিধাভোগীরাই সামনে চলে আসে, তারা এমন ভাব দেখায় যেনো সবকিছু তারাই করেছে। যারা ত্যাগী তাদেরকে সরানোর জন্য সুবিধাভোগীরা ওঠে পড়ে লাগে।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারের এমন পতন ইতিহাসে কেউ দেখেনি। শুধু পতন নয়, নেতাকর্মীদের ফেলে বোনকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন তিনি। এটা ইতিহাসে লেখা থাকবে।

মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিত, যেন আমরা এলাকা ছেড়ে চলে যাই। আবার মুখে অনেক ভালো ভালো কথা বলেছেন। তাদের জন্য নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি শ্রেণির মানুষ অতিষ্ঠ। এই সন্ত্রাসীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা আইন হাতে নেব না, তবে মনে রাখবেন আমরা কাউকে রেহাই দেব না।

তিনি আরও বলেন, এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন বিএনপিকে এই আন্দোলনে পাশে থাকতে হবে। তার নির্দেশে আমরা এ আন্দোলনে মাঠে নেমেছি সমর্থন দিয়েছি। আমাদের কত নেতাকর্মীরা মারা গেছে, তবুও আমরা স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে ভয় পাইনি। আন্দোলনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা মাঠে ছিলাম। আর লুটপাট যারা করেছে এটা স্বৈরাচারের লোকজনেরাই করেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা এগুলো করেনি।

তিনি আরও বলেন, এ বিজয়ে এখনই খুশি হওয়ার সময় নেই। পতিত স্বৈরাচার ষড়যন্ত্র করছে। কীভাবে তারা অরাজকতা তৈরি করে দেশে ফিরতে পারে। নেতা বিচক্ষণ, তিনি এটা উপলব্ধি করে তিন দিনের কর্মসূচি দিয়েছেন। আমাদের এই তিন দিন রাজপথে থাকতে হবে।

নারায়ণগঞ্জে বিএনপি অত্যন্ত শক্তিশালী সংগঠন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের মত কঠিন আন্দোলন দেশের কোথাও হয়নি। নারায়ণগঞ্জে আমাদের দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র-জনতা যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে তা ইতিহাস হয়ে থাকবে।