১৬ বছর আমাদের বুকে চেপে বসেছিল জালিম শাহী: মাওলানা মামুনুল হক

ডেস্ক রিপোর্ট, সান নারায়ণগঞ্জ

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ১৬ বছর অন্ধকার সময়ে আমাদের বুকে চেপে বসেছিল এক জালিম শাহী। মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল এদের হয়তো নামানো সম্ভব না। তাদেরও বিশ্বাস ছিল তাদের কেউ নামাতে পারবে না। তারা মসনদকে জবরদখল করে বসেছিল। তাদের ইচ্ছা ছিল লাখো মানুষকে হত্যা করে হলেও শেখ হাসিনা ক্ষমতা চালিয়ে যাবেন।

২১ আগস্ট বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার হাবিবপুর ঈদগাহ মাঠে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও প্রতিবাদ সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে। তাকে ধরে আনতে হবে।

তিনি বলেন, সব হত্যা ও গণহত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদের আদায় করতে হবে। আমরা বলেছিলাম ভাস্কর্য করার দরকার নেই, আপনার বাবাকে আর জাতির সামনে অপমানিত করবেন না। একথা বলায় আমাকে গ্রেপ্তার করলেন, জাতীয় সংসদে আমাকে নিয়ে আক্রমণ করলেন, আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান লেলিয়ে দিলেন। আমাদের কথা সেদিন মানলে আজ সারা দেশে এ লাঞ্ছনা তাদের বরণ করতে হতো না।

তিনি আরো বলেন, আমি আজকে আমাদের প্রিয় ভাই মাওলানা ইকবাল সাহেবকে স্মরণ করছি। তার মৃত্যু আমাকে মর্মাহত করেছে। এটি আমার কারাজীবনের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ছিল। আমি সোনারগাঁ থানা ও বন্দর, গজারিয়া, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার থানার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

মামুনুল হক বলেন, এ সংগ্রাম জুলাই থেকে শুরু হলো। আগস্টে এসে এটা সফলতায় পরিণত হলো। কিন্তু এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ সংগ্রামে অনেক ভাইয়ের রক্ত রয়েছে। ২০০৯ সালে পিলখানায় ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদীর মতো নর ঘাতককে নিয়ে হেফাজতে ইসলাম প্রতিবাদ জানিয়েছিল, এ অপরাধে পাখির মতো গুলি করে আমাদের ভাইদের হত্যা করেছিল। ২০২৪ নির্বাচনেও দেখেছেন গোটা দেশের মানুষকে জিম্মি করে দিল্লির সহায়তায় ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়েছিল।