আড়াইহাজারে বিএনপির প্রভাববিস্তার নিয়ে আজাদ ও সুমন বলয়ে একাধিক সংঘর্ষ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপিতে প্রভাববিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ -অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন বলয়ের নেতাকর্মীদের মাঝে একাধিক স্থানে হামলা মারামারি সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৩ আগস্ট সুমনের বিজয় মিছিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল নেতা আবু হানিফ রিমনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখমের পর ২৩ আগস্ট উপজেলার ফাউসা এলাকায় দোয়া মাহফিলের ব্যানার ও প্যান্ডেল ভাংচুর করেছে আজাদ অনুগামীরা।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, গত ১৩ আগস্ট আজাদ অনুগামীদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আবু হানিফ রিমন। হানিফের অভিযোগ- আজাদের নির্দেশেই তাকে মেরে ফেলতে এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। আহত হানিফ বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ -অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনের অনুগামী। হামলায় গুরুতর রক্তাক্ত আহত হানিফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

১৩ই আগস্ট বিকেলে মাহামুদুর রহমান সুমন আড়াইহাজার উপজেলায় শান্তি ও সম্প্রীতি মিছিল করেন এবং গাড়িবহর নিয়ে শোডাউন করেন। ওই মিছিলে যোগদান উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকা থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগদান করেছিলেন আবু হানিফ রিমন। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি অপর বিএনপি নেতা আজাদ ও তার লোকজন। মিছিল শেষে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথে কালাপাহাড়িয়া এলাকায় এই হামলার শিকার হোন তিনি।

ওইদিন বিকেলে তার পথরোধ করে মোটর সাইকেলে করে ১০/১২ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, ছুড়ি ছেনদা, লোহার রড ও পাইপ নিয়ে তাঁর উপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলায় হানিফের মাথা, হাত পা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় হানিফ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাকে মৃত ভেবে চলে যাওয়ার পর উপস্থিত লোকজন গুরুতর আহত হানিফকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

এদিকে ২৪ আগস্ট শনিবার উপজেলার বড় ফাউসা এলাকার সুফিয়া মনসুর  স্কুল মাঠে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে নিহতদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাাপতি সালাউদ্দীন মোল্লা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মাহামুদুর রহমান সুমনের। এ উপলক্ষ্যেগত দুইদিন যাবত সেখানে বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। খবর পেয়ে আজাদ অনুগামীরা ২৩ আগস্ট সেই প্যান্ডেল ভাংচুর করে দেয়।