সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী সম্রাট হাসান সুজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাসিকের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা। এমন অভিযোগ করেছেন বন্দর উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, বন্দর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা সন্ত্রাসী খান মাসুদের সহযোগী নূর হোসেন এখন আবুল কাউসার আশার কাধে বন্দুক রেখে যুবদল নেতা সম্রাট হাসান সুজনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা নেমেছেন। একইভাবে গণমাধ্যমে সাজানো কল্পকাহিনী নূর হোসেনের মাধ্যমে সুজনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করানো হচ্ছে। রাজপথের পরীক্ষিত নেতা সম্রাট হাসান সুজনকে দমানোর লক্ষ্যে এই ষড়যন্ত্রে কাউন্সিলর আশা জড়িত। একই সঙ্গে নূর হোসেনকে দিয়ে মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নাম গণমাধ্যমে বলিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টায় কুচক্রীমহল।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, খান মাসুদের সহযোগী নূর হোসেন বন্দর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বেদখলীয় জমির ওয়ারিশ কিনে অসহায় মানুষের জমিজমা জোরপুর্বক দখল করেছে। জোরপূর্বক ড্রেজার বসিয়ে মানুষের জমিজমা বালু ভরাট করেছে। এলাকায় খান মাসুদের দাপট দেখিয়ে মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। কিশোর গ্যাং থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশয় দিতো নূর হোসেন। বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামগুলোতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য থানায় নেতাকর্মীদের নামের তালিকা দিতো নূর হোসেন। আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে মিশে এসব অপকর্ম করেছে নূর হোসেন। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি বিএনপির সমর্থক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে তার অপরাধের সাম্রাজ্য আবারো নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। তার এসব অবৈধ কার্যকলাপে যুবদল নেতা সম্রাট হাসান সুজন পথের কাটা হতে পারে এমনটা আচ করতে পেরে আগেই সুজনকে ঠেকাতে মিডিয়াতে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে নূর হোসেন। এতে মুল পরিকল্পনায় আছেন কাউন্সিনলর আশা।
স্থানীয় বিএনপি নেতা রাজু আহমেদ বলেন, নূর হোসেন হচ্ছে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী বাহিনীর ক্যাডার এবং খান মাসুদের ঘনিষ্ঠ কাছের লোক। নূর হোসেনকে দিয়ে আওয়ামীলীগের লোকজন ভূমিদস্যুতার কাজ, মানুষের জায়গা দখল ড্রেজার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও মানুষকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে অনেক টাকা পয়সা আত্মসাৎ করাই হচ্ছে নূর হোসেনের কাজ। যদি বিশ্বাস না হয় এলাকায় তদন্ত করে খবর নিবেন। আর সুজন হচ্ছে সম্মানিত একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং মিথ্যা। এগুলি ওসমান পরিবারের যারা দোসর আছেন, তাদের প্রেসক্রিপশনেই করা হচ্ছে। সুজনকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য, সুজন যদি এগুলো করতো তাহলে তার নিজ গ্রামে আর বসবাস করতে পারতো না। আওয়ামী লীগের দুঃশাসন মানুষকে হয়রানি এবং ষড়যন্ত্র করে সম্মান নষ্ট করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।
এছাড়াও বন্দরের আনিস সিকদার নামে একজন ফেসবুকে নুর হোসেন সম্পর্কে লিখেছেন, আসলে এখানে একটা গেইম খেলা চলছে। সুজন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পক্ষ হয়ে কাজ করছে। সংবাদ প্রচার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে করা। এই লোক চিহ্নিত একজন বাটপার মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী ভূমিদস্যুতার অভিযোগ আছে। তাকে নিয়ে শালিশ বিচার হয়েছে, এক কথায় খারাপ লোক। সুজন একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং বিএনপির রাজনীতি করে ১৭ বছর সৈরাচার সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। মামলা খেয়েছে নির্যাতিত হয়েছে এবং ভালো ছেলে, তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার এবং বিএনপিকে ক্ষতি করার জন্য।
এ বিষয়ে সম্রাট হাসান সুজন তার ফেসবুকে লিখেছেন, সম্প্রতি ২৩নং ওয়ার্ড কমিশনার আবুল কাউছার আশা নামে এক ব্যক্তি আমাদের এলাকার এক ভূমিদস্যু বালু ব্যবসায়ী নুরুকে দিয়ে একটি ভিডিও তৈরী করে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়েছেন। তিনি আমাকে চাঁদাবাজ উপাধি দিয়ে সামাজিকভাবে আমার রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত মান সম্মান এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তিনি আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানির করছেন।