সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
যারা বিগত সাড়ে ১৫ বছর রাজপথে সক্রিয়ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে যেসব নেতাকর্মী হামলা মামলা জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন সেইসব নেতাকর্মীদের দমাতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপির ভেতরে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ত্যাগীদের কোণঠাসা করার লক্ষেই তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছেন আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টিঘেষা নামধারী বিএনপির পরিচয়দানকারী ব্যক্তিরা। গত ৫ আগস্টের পর এসব ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপর খড়গ নেমে এসেছে। হামলা মামলা জেলজুলুমের পরেও যখন তারা বৈধভাবে ব্যবসা বানিজ্য কিয়বা নিজেদের কর্মক্ষেত্র চালিয়ে যাবে সেই সুযোগটিও তাদেরকে দিতে চাচ্ছেনা একটি চক্রান্তকারী চক্র। সেই লক্ষেই উল্টো তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে নানা মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে মিথ্যাচার অপপ্রচার করে তাদেরকে বিএনপির রাজনীতিতেও কোণঠাসা করার অপচেষ্টা হচ্ছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন দিদার খন্দকার। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির নেতা ও ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। তিনি এক সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। শহর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক পদে থেকেই নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যখন জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কোনো কমিটি ছিল না। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার হামলা মামলার শিকার হয়েছিলেন দিদার খন্দকার। কিন্তু ৫ আগস্টের পর সরকার পতন হলে দিদার খন্দকারের বিরুদ্ধেই শুরু হয় ষড়যন্ত্র। নারায়ণগঞ্জ নগরীর ১নং ঘাটটি পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীরা দিদার খন্দকারকে দায়িত্ব দেয় এবং বৈধভাবে তিনি ঘাট পরিচালনা করে আসছেন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়। বন্দর নগরবাসীর সেবা করতে গিয়ে উল্টো ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ। তিনি এর আগে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ও মহানগর ছাত্রদরের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। অথচ তিনি ৫ আগস্টের পর মহানগরীতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করতে গিয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার হোন। আদমজী ইপিজেডে তিনি ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করতে গিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের শিকার হোন। নগরীর একটি স্কুলের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে গিয়েও তিনি অপ্রপ্রচারের শিকার হোন। রাজপথের এই নেতা প্রায় ৩০টির বেশি মামলায় আসামী হয়েছেন। বহুবার রাজপথে হামলার শিকার হয়েছেন। সন্ত্রাসীরাও তার বাড়িতে গুলিবর্ষণ করেছিল। আন্দোলন করতে গিয়ে জেল খেটেছেন অসংখ্যবার। বর্তমানে রাজপথের এই নেতাও পড়েছেন ষড়যন্ত্রে।
রাকিবুর রহমান সাগর নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। অসংখ্য মামলায় আসামী হয়েছেন। হামলা মামলায় নির্যাতিত এই সাগরের বিরুদ্ধেও শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র। তাকেও আদমজী ইপিজেডের ঝুট নামানোর বিষয়ে ঝড়িয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা তাকেও কোণঠাসা করতে তার বিরুদ্ধে করছে চক্রান্ত।
রাসেল মাহামুদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের রাজনীতি করেছেন দীর্ঘদিন। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি করছেন। তিনি ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব পদে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। ডজন খানিক মামলায় আসামী হয়েছেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর মহানগর যুবদলের সাবেক নেতা আনোয়ার হোসেন আনু হত্যা মামলায় তাকে আসামী করা হয়। অথচ এলাকাবাসী নিয়মিত বিক্ষোভ মিছিল করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। একই সঙ্গে বিসিক এলাকায় তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার পায়তারা করছে একটি মহল। একই সঙ্গে বিসিক নিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধেই অপপ্রচার মিথ্যাচার করে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে।
কাজী সোহাগ নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিগত সাড়ে ১৫ বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন কাজী সোহাগ। ডজন খানিক মামলার আসামী হয়েছেন। রাজপথ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। হামলা মামলায় নির্যাতিত এ নেতার বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্টের পর থেকে তার বিরুদ্ধেও অপপ্রচার শুরু হয়েছে। তাকে বন্দরের রাজনীতি থেকে কোণঠাসা করতে চলছে ষড়যন্ত্র। খান মাসুদের সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ দখলবাজদের রুখতে গিয়ে উল্টো কাজী সোহাগের বিরুদ্ধেই চক্রান্ত চলছে।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন সম্রাট হাসান সুজন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করে পিঠের হাড় ভেঙে দেয়। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলর সাবেক সদস্য, বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, বর্তমানে সভাপতি প্রার্থী। কঠিন সময়েও রাজপথে কঠোর আন্দোলন করেছেন সুজন। হামলা মামলা জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার এই নেতার বিরুদ্ধে ওঠে পড়ে লেগেছে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীঘেষা নামদারী বিএনপির পরিচয়দানকারীরা। ৫ আগস্টের পর মিডিয়াকে ব্যবহার করে সুজনকে বন্দরের রাজনীতিতে কোণঠাসা করতে বিরাট ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একইভাবে তার নিজ এলাকায় দলের কর্মসূচি পালন করতে গেলে হামলার শিকার হতে হচ্ছে। বাড়িতে গিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার চেষ্টা করছেন। অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। তার এলাকা বন্দর ইউনিয়নে বিএনপির অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গিয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু সন্ত্রাসী হামলার শিকার হোন।