সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বন্দরের নবীগঞ্জ কামালউদ্দীনের মোড় এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশসনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা ও তারই চাচা বন্দর উপজেলা পরিষদের দুইবারের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল সহ ৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ১৫০জনকে আসামী করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে আহত টিপু বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
আবুল কাউসার আশা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, মহানগর ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি এবং মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের পুত্র। আতাউর রহমান মুকুলও আবুল কালামের চাচাতো ভাই, মহানগর বিএনপির সাবেক (বহিস্কৃত) যুগ্ম আহ্বায়ক। আবুল কাউসার আশা মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক।
এ ছাড়াও মামলায় হামলাকারী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শাহিন আহমেদ সৌরভ ও তার ভাই রাজীব, সিরাজউদ্দীন দর্পন, তার ভাই ছাত্রলীগ নেতা অর্পন, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাক আহমেদ, বন্দর থানা ছাত্রদলের বহিস্কৃত সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ উদ্দীন বশির, নগরীর আমলাপাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সনিকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বিএনপি নেতা টিপু অভিযোগ করেন, গত
৬ আগস্ট দুপুরে বন্দরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় আশা ও মুকুলের নেতৃত্বে টিপুর উপর হামলা চালানো হয়। এসময় আশা অটোরিকশার পেছন থেকে চাপাতি দিয়ে টিপুর ঘাড়ে কোপ দেয়। এর ফলে ঘাড় কেটে রক্তাক্ত জখম হয় এবং সেখানে চারটি সেলাই লাগে। এসময় আবুল কাউছার আশা বাদীর পায়জামার পকেটে থাকা ৬০ হাজার টাকা নিয়া যায়। মোঃ আতাউর রহমান মুকুল তার হাতে থাকা হকিষ্টিক দিয়া টিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় আঘাত মারলে টিপু তার বাম হাত দিয়া উক্ত আঘাত ঠেকাইলে তার বাম হাতে গুরুতর জখম হয় এবং বাম হাতের কাধের নিচ অংশ ভাঙ্গিয়া যায়। আতাউর রহমান মুকুল আমার পাঞ্জাবীর পকেটে থাকা সাড়ে ৮ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
মামলায় আসামীরা হলো- আবুল কাউছার আশা, মোঃ আতাউর রহমান মুকুল, সৌরভ, রাজীব, মোস্তাক আহম্মেদ, মোঃ পাবেল সরকার, জাকির হোসেন, মোঃ রাসেল আহম্মেদ, ওয়াসিম জয়কে বোমারু ওয়াসিম, নাসির, রিপন, হেলাল উদ্দিন রবিন, মোঃ হোসেন, ওয়াসিম, আব্দুল জলিল, মোঃ রুবেল, কামলেট, মোঃ শাহআলম, মোঃ সাইদুর, সানি সিকদার, মোঃ মহসিন, জাহাঙ্গীর ওরফে আইরইল্লা জাহাঙ্গীর, সাইদুর রহমান লিটন, আবু তাহের মিন্টু, বিপ্লব, মোঃ সনি, মানিক চাঁন, মোঃ সজিব, মানিক, আকাশ বশির, দর্পণ, অর্পন, বায়ী, সায়মন, হালিম প্রধান, মোঃ কাউছার, মোঃ মুন্না, সুজন, রাব্বি ওরফে কানা রাব্বি, রাজু, জামান, আপেল, রবিন, মনিরুল হক রঞ্জু, হৃদয়, মোঃ তাওলাদ হোসেন, ইমরান, মোঃ রুবেল মেম্বার, জাহাঙ্গীর মেম্বার, মোঃ শরীফ, আমান, শুভ ও বরিশাইল্লা রবিনকে আসামী করা হয়।