রেস বিজ্ঞপ্তি
গত সেপ্টেম্বর রবিবার আনন্দধামের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে “বহু ভাষায় শিক্ষা প্রসার: পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্যে সাক্ষরতা- শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমুর সভাপতিত্বে স্থানীয় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি, সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ শাহিদুর রহমান ও মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশন,লন্ডনের সদস্য ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড: মোঃ আবদুর রহিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে এই সেমিনারে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক সোজাসাপটার প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আবু সাউদ মাসুদ ও এন টিভির নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি প্রবীণ সাংবাদিক জনাব নাফিজ আসরাফ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান শাহরিয়ার মো: মারুফ, আনন্দধাম আন্তর্জাতিক ফোরামের সভাপতি আজিজুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান বাবু শ্যামল দত্ত ও বিপ্লব ঘোষ, এনামুল হক প্রিন্স, মো: আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, ইকবাল আহমেদ, মো: মুজাহিদ মোতালেব সানি, খোকন গাজী, মো: সেলিম, মো: রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
আনন্দধামের মহাসচিব বাবু বিশ্বজিৎ সাহার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের বক্তব্যে জাতীয় উন্নয়নে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে সাক্ষরতা দিবসের গুরুত্ব উল্লেখ্য করে বলেন, আজও পৃথিবীর প্রায় ৭৭৫ মিলিয়ন মানুষের ন্যূনতম অক্ষরজ্ঞানের অভাব রয়েছে। ফলে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচজনে একজনের রয়েছে শিক্ষার অভাব। এর মধ্যে একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে নারী। গোটা বিশ্বের প্রায় ৬০ দশমিক ৭ মিলিয়ন শিশু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তাই আজকের দিনে এই সাক্ষরতার দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। সাক্ষরতা ব্যতীত অর্থাৎ নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যতীত একজন নাগরিক তার প্রচন্ড দেশপ্রেম থাকা সত্যেও সার্বিক ভাবে দেশ উন্নয়নে সম্পৃক্ত হতে পারছেনা। তাই আমি মনে করি শিক্ষা বিহীন দেশপ্রেম আধুনিক রাস্ট্র বিনির্মানে প্রধান অন্তরায়।
মুখ্য আলোচক এডভোকেট ড: মোঃ আবদুর রহিম সাক্ষরতার উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বিজ্ঞান নিয়ন্ত্রিত এই বিশ্বে সম্মান নিয়ে টিকে থাকতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আনন্দধাম সাক্ষরতাকে উৎসাহিত করার জন্যে কাজ করে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এখানে উল্লেখ্য যে ১৯৬৭ সাল থেকে ৮ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস গুরুত্ব সহকারে সমস্ত বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। মহামান্য রাস্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এই উপলক্ষে বানীও দিয়েছেন। দিবসটির লক্ষ্য ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং সমাজের কাছে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরা। সাক্ষরতা বলতে জাতিসংঘ থেকে বলা হচ্ছে নিজের ভাষায় চিঠি লিখতে পারা, পড়তে পারা, দৈনন্দিন হিসেব-নিকেশ এর জ্ঞান সম্পূর্ণ হওয়াকে বুঝাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে হাসিনা রহমান সিমু বলেন, বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা ফ্রী হওয়া সত্যেও নিরক্ষর মানুষ থাকা আমাদের নাগরিক ব্যর্থতা। আমি মনে করি দেশের প্রত্যেক নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে দেশকে নিরক্ষরতা মুক্ত করতে, এটা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে শেষে আনন্দধামের পক্ষ থেকে আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান শাহরিয়ার মো: মারুফের গুরুতর অসুস্থ পিতার জন্যে দোয়া পরিচালক করা হয়।