ডেস্ক রিপোর্ট
সিদ্ধিরগঞ্জে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচির আওতায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবর্জনা ফেলার ঝুড়ি উপহার দিলেন কাউন্সিলর জিএম সাদরিল।
১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট উপহার হিসেবে আবর্জনার ঝুড়ি বিতরণ করা হয়।
এ সময় সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ, দক্ষিন আজিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিদ্ধিরগঞ্জ দারুসুন্নাহ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রসা ও ছিদ্দিকিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসাসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবর্জনার ঝুড়ি উপহার হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সহ সভাপতি গোলাম মোহাম্মাদ সাদরিল এ বিষয়ে বলেন, নাগরিক সুবিধা লাভের বিপরীতে আমাদের নাগরিক দায়িত্বও পালন করতে হবে। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের একার পক্ষে এই নগর পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি যে উদ্যোগ নিয়েছি তার সাথে আপনারা সকলে থাকবেন।
তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলা হয় এটা বন্ধ করতে হবে। আমাদের শহর আমাদেরই পরিস্কার রাখতে হবে এ জন্য আপনাদের সবার সহযোগীতা প্রয়োজন। আমার একা এবং সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের পক্ষে শহর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার সম্ভব না। সবার সহযোগীতায় এ শহর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা সম্ভব হবে। আপনারা আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে নিদিষ্ট একটি স্থানে রাখুন। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমার এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবর্জনা রাখার ঝুড়ি উপহার দিচ্ছে। এই কর্মসূচি অব্যাহত রেখে আগামীতে নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্য উপজেলায় এ অভিযান অব্যাহত রাখবো। প্রিয় এই নগরটি আমাদের অবহেলায় ধীরে ধীরে তার অতীত রূপটি হারাচ্ছে। মানুষ সচেতন না হলে শহর পরিস্কার রাখা অসম্ভব। আমরা শুধু অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকি। কিন্তু নিজেরা নিজের অঙ্গনটিও একবেলা পরিস্কার করি না।
সাদরিল আরো বলেন, পরিচ্ছন্ন শহর কিংবা নগরের স্বপ্ন দেখতে হলে প্রথমত নাগরিকদেরই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি উন্নত বিশ্বের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানকার মানুষ সামান্য চকলেটের খোসা কিংবা অন্যান্য ছোটখাটো জিনিস ফেলতেও প্রয়োজনে কয়েক কিলোমিটার হাঁটতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, সব কিছু আইনি প্রক্রিয়ায় সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই।
এ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দক্ষিন আজিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন, আজ আমাদের কাউন্সিলর আবর্জনার ঝুড়ি উপহার দিচ্ছে, বিষয়টি সকলকে ভাবাবে। আমিও কথা দিয়েছি, আমার প্রতিষ্ঠান ও সংলগ্ন এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখব।
তিনি বলেন, আমি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কাউন্সিলরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।